1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা ল্যাবে তৈরি, বললেন ভারতের মন্ত্রী

১৪ মে ২০২০

করোনার ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব এ বার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর মুখেও। তাঁর অভিযোগ, করোনা ভাইরাস ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3cBmF
ছবি: AP

নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় নীতিন গড়করিকে সব চেয়ে দক্ষ মন্ত্রী বলা হয়। সড়ক পরিবহন, বন্দর, ছোট ও মাঝরি শিল্প, গঙ্গা শোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর তাঁর কাছে। তিনি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিও। সেই নীতিন গড়করি এ বার সাফ জানিয়েছেন, ''করোনা ভাইরাস ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়েছে। এটা স্বাভাবিক ভাইরাস নয়, কৃত্রিম। তাই করোনাকে নিয়েই বাঁচতে হবে। তবে একবার এর ভ্যাকসিন বের হয়ে গেলে আর কোনও অসুবিধা হবে না। গোটা বিশ্ব ভ্যাকসিন বানাবার চেষ্টা করছে।''

করোনা নিয়ে এই ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব অনেকের মুখেই শোনা যাচ্ছে। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি অভিযোগ করেছেন, করোনার ভাইরাস চীনের ল্যাবরেটরিতে বানানো হয়েছে। অ্যামেরিকার কাছে সেই প্রমাণ আছে। পরে মার্কিন বিদেশ সচিব পম্পেও একই অভিযোগ করেন। তবে অ্যামেরিকা সেই প্রমাণ এখনও দেয়নি। চীন এই অভিযোগ অস্বীকর করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই তত্ত্বকে আমল দেয়নি। তা সত্ত্বেও এই অভিযোগ উঠছে।

করোনা কি ল্যাবে তৈরি?

নীতিনের বক্তব্য, ''ল্যাবে বানানো কৃত্রিম ভাইরাস বলেই বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত ছিলেন না। কোনও দেশও প্রস্তুত ছিলো না। হঠাৎ করে এই বিপদ এসেছে। এক সঙ্গে দুইটি লড়াই লড়তে হচ্ছে। এক, করোনার বিরুদ্ধে। দুই, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার লড়াই। ভারত গরিব দেশ। ফলে মাসের পর মাস পুরো দেশ বন্ধ রেখে লকডাউন চালু রাখা সম্ভব নয়। তাই করোনাকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচার অভ্যাস করতেই হবে।'' নীতিন কেবল চীনের নাম নেননি। তবে ল্যাবে বানানোর কথা বলে অভিযোগের আঙুল তিনি চীনের দিকেই তুলেছেন। নীতিনের এই অভিযোগের পর প্রশ্ন উঠেছে, এটি কি তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত, না কি সরকারের স্ট্যান্ড? তাঁর অভিযোগের তথ্য প্রমাণই বা কী? নীতিন অবশ্য ট্রাম্পের মতো দাবি করেননি যে, তাঁর হাতেও তথ্য প্রমাণ আছে। 

এ দিকে ভারতে এখন চীনের জিনিস ব্যবহারের বিরুদ্ধে রব উঠছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিদশি ব্র্যান্ডের জিনিস ছেড়ে স্বদেশী ব্র্যান্ড নেওয়ার কথা বলেছেন। তারপর অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যান্টিনে শুধু স্বদেশী ব্র্যান্ডই থাকবে।

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ১৩৪ জন। সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৭৮ হাজার তিন জন এবং মারা গিয়েছেন দুই হাজার ৫৪৯ জন। লকডাউনের কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল করে দেওয়ার ফলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। এটা অবশ্য প্রত্যাশিত ছিলো। তবে নীতিন যেটা বলেছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সব কিছু থামিয়ে লকডাউন করে রাখাটা সাময়িক ব্যবস্থা হতে পারে, দিনের পর দিন তা চলতে পারে না।

জিএইচ/এসজি(এএনআই, এনডিটিভি)