1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমাকে হারাতেই চীন ষড়যন্ত্র করছে’

৩০ এপ্রিল ২০২০

নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর পরাজয় নিশ্চিত করতেই চীন করোনা সংকট সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি চীনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/3baZO
ছবি: Reuters/C. Barria

চীনের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে তোপ দেগে চলছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ এবার তিনি বেইজিং-এর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনলেন৷ ট্রাম্পের মতে, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ঠিকমতো সামাল না দিয়ে চীন আসলে নভেম্বর মাসে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করতে চেয়েছে৷ অর্থাৎ তিনি যাতে হেরে যান, তা নিশ্চিত করতে চীন সবকিছু করতে প্রস্তুত৷ চীন চায় ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হোন৷ কারণ তিনি বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে চীনের উপর যে চাপ সৃষ্টি করেছেন, হোয়াইট হাউসে পালাবদল ঘটিয়ে চীন তা কমাতে চায়৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন৷

তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকার পাত্র নন ট্রাম্প৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেক কিছুই করতে পারি৷’’ করোনা সংকটের জের ধরে চীনের ‘কৃতকর্ম’-এর পরিণাম সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করছেন তিনি৷

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারিতে এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ অর্থনীতি গভীর মন্দায় ডুবে যাচ্ছে৷ ফলে ট্রাম্প নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷ করোনা সংকটের প্রথম পর্যায়ে চীনের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেও ইদানীং তিনি সে দেশের বিরুদ্ধে পর পর অভিযোগ এনে চলেছেন৷ তাঁর মতে, সময় থাকতেই চীনের গোটা বিশ্বকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানানো উচিত ছিল৷ তার বদলে জনসংযোগের মাধ্যমে এখন নিজেদের নির্দোষ হিসেবে তুলে ধরছে সে দেশ৷

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, লাগাতার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কাটাতে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, করোনা সংকটের জের ধরে তাতেও লাভ হচ্ছে না৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মার্চ মাসের শেষে এক টেলিফোন সংলাপের পর ট্রাম্প ও শি বাকযুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়েছিলেন৷ সংঘাতের বদলে করোনা সংকট মোকাবিলায় নিবিড় সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু এখন সেই সমঝোতা আর কাজ করছে না৷ প্রতিদিনই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা যাচ্ছে৷ তবে ট্রাম্প এখনো পর্যন্ত সরাসরি তাঁর ‘বন্ধু' শি সম্পর্কে কোনো বিরূপ মন্তব্য করেন নি৷

রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প নিজের কিছু সাম্প্রতিক সাফল্য তুলে ধরারও চেষ্টা করেছেন৷ তাঁর চাপের মুখে দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিনিময়ে আরও অর্থ দিতে রাজি হয়েছে৷ অর্থের অঙ্ক উল্লেখ না করলেও ট্রাম্প দাবি করেন, ২০১৭ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণ কোরিয়া যে অঙ্কের অর্থ দিত, সেই অঙ্ক অনেক বেড়ে গেছে৷

করোনা সংকটের আগে পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে অ্যামেরিকার অর্থনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল বলে ট্রাম্প মনে করিয়ে দেন৷ এখন লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন এবং অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাম্প নাগরিক ও কোম্পানির জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন এবং গভর্নরদের ধীরে ধীরে কড়াকড়ি তুলে নেবার জন্য চাপ দিচ্ছেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স)