1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যবাংলাদেশ

উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও আয়করে ছাড় নেই

৬ জুন ২০২৪

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়লেও আয়করে তেমন ছাড় দেননি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী৷ এদিকে ‘বিনা প্রশ্নে' কর দিয়ে ‘কালো টাকা সাদা' করার প্রস্তাব রেখেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4gjDF
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ
নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসাবে এবারই প্রথম বাজেট ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।ছবি: Getty Images/AFP/F. K. Godhuly

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী৷ বাজেটে সাধারণ মানুষের আগ্রহের একটি বিষয় থাকে করমুক্ত আয়সীমা নিয়ে৷ সাধারণত মূল্যস্ফীতি বেশি থাকলে আয়করের সীমা কমিয়ে মানুষকে অতিরিক্ত করের বোঝা থেকে স্বস্তি দিতে পারে সরকার৷ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি নয়-দশ শতাংশে থাকলেও এক্ষেত্রে খুব একটা ছাড় দেননি প্রথমবার বাজেট দেয়া আবুল হাসান মাহমুদ আলী৷

বর্তমানে কারো বার্ষিক আয় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা হলে তাকে আয়কর দিতে হয় না৷ আগামী অর্থবছরের জন্য এই সীমা বাড়ানো হয়নি৷ পরবর্তী এক লাখ টাকার উপরে আয়ের জন্য পাঁচ শতাংশ কর দিতে হতো৷ সেটিও অপরিবর্তিত থাকছে৷ তবে পরবর্তী তিন লাখ টাকার উপরে আয়ের জন্য ১০ শতাংশ কর দেয়ার বিধান ছিল৷ সেই সীমাটি বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়েছে৷ অন্যদিকে পরবর্তী চার লাখ টাকার উপরে আয়ের জন্য আগে ১৫ শতাংশ করের নিয়ম ছিল৷ বাজেটে সেই সীমা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং পরবর্তী ২০ লাখ টাকার উপরে ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট টাকার উপরে ৩০ শতাংশ কর ধরা হয়েছে৷

এছাড়া সিটি কর্পোরেশন এলাকার কোম্পানি করদাতা ব্যতীত অন্য করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম কর চার হাজার টাকা এবং ‌সিটি কর্পোরেশনের বাইরের অন্যান্য এলাকার কোম্পানি করদাতা ব্যতীত অন্য করদাতাদের জন্য ন্যূনতম কর ৩ হাজার টাকাও অপরিবর্তিত থাকছে৷

কালো টাকা সাদা' করার বিধান

অর্থমন্ত্রী অপ্রদর্শিত আয় ও সম্পদ বিনাপ্রশ্নে কর দিয়ে ‘অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ' বাড়াতে চান৷ সেজন্য এমন একটি বিধানের প্রস্তাব রেখেছেন বাজেটে৷ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে এই সুযোগ নিতে পারবেন অপ্রদর্শিত আয়, সম্পদের মালিকেরা

প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী, ‘‘দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমির জন্য নির্দিষ্ট করহার এবং নগদসহ অন্যান্য পরিসম্পদের উপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকারের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না৷''

অথচ প্রদর্শিত আয়ের ক্ষেত্রে আয়করের সর্বোচ্চ হার ধরা হয়েছে ৩০ শতাংশ৷  এই বিধানের পক্ষে যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘‘রিটার্ন দাখিলে করদাতার অজ্ঞতাসহ অনিবার্য কিছু কারণে অর্জিত সম্পদ প্রদর্শনে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে৷ এই অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নে এই ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান এবং অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি আয়কর আইনে কর প্রণোদনা সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ সংযোজনের প্রস্তাব করছি৷''

তবে এই ধরনের বিধান ‘কালো টাকা সাদা করার' সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করে এর বিরোধিতা করে থাকেন অনেক অর্থনীতিবিদেরা৷ এর ফলে দুর্নীতিকে উৎসাহ দেয়া হয় বলে সমালোচনা তাদের৷

এফএস/কেএম