1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যবাংলাদেশ

অভিলাষী পরিকল্পনায় লাগাম টানার বাজেট

৬ জুন ২০২৪

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে উচ্চাভিলাষী ব্যয় বৃদ্ধির প্রথা থেকে কিছুটা সরে এসেছেন বাংলাদেশের নতুন অর্থমন্ত্রী৷ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী৷

https://p.dw.com/p/4gj9Z
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন
জাতীয় সংসদে আসছে অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রীছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS

বাস্তবায়ন হোক বা না হোক বড় আকারের ব্যয় পরিকল্পনা, বিশাল রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা, প্রবৃদ্ধির উচ্চাশা; এমনটাই বাংলাদেশে বাজেট ঘোষণার রেওয়াজ হয়ে উঠেছিল৷ এবার সেখানে কিছুটা হলেও ভিন্ন পথে হেঁটেছেন প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ করা অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী৷ ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন বাজেট ঘোষণা করেছেন তিনি৷ 

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আসছে অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট বা ব্যয় পরিকল্পনা পেশ করেন৷ এটি বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি৷ তবে গত জুনে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে বাজেট ঘোষণা করেছিলেন এটি তার চেয়ে সাড়ে চার শতাংশের কিছু বেশি৷ যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এই বৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ৷

তবু আড়াই লাখ কোটি টাকার ঘাটতি

অর্থমন্ত্রী যে ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছেন তার পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে সংগ্রহ করতে চান৷ এরমধ্যে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও শুল্ক থেকে৷ বাকিটা আসবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতার বাইরে থাকা অন্যান্য কর বা সরকারের অন্য আয় থেকে৷

তারপরও ব্যয়ের পরিকল্পনায় দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি থেকে যাবে, যা দেশের জিডিপির চার দশমিক ছয় শতাংশ৷ অবশ্য এটি বিগত বছরের তুলনায় কম৷

অর্থমন্ত্রীর আশা আসছে অর্থবছরে বৈদেশিক অনুদান বাবদ পাওয়া যাবে চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা৷ ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার যোগান দেয়া হবে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিয়ে, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি৷ দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাসহ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ঋণ, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে দুই দশমিক সাত শতাংশ বেশি৷

সরকার পরিচালনাতেই ৬৩ শতাংশ ব্যয়

যে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন তার পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৯৭১ কোটি টাকা বা ৬৩ শতাংশই চলে যাবে সরকার পরিচলনায়৷ এর মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা থেকে, বিগত বছরে নেয়া ঋণ বা সুদ পরিশোধের মতো ব্যয়গুলো রয়েছে৷ এটি বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি৷

গত কয়েক বছর ধরে সরকারের ঋণের বোঝা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন অনেক অর্থনীতিবিদ৷ এবারও অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে ৯৩ হাজার কোটি টাকা আর বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ করতে গিয়েই ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা চলে যাবে সরকারের৷

বাকি দুই লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা সরকার উন্নয়ন খাতে ব্যয় করবে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে সোয়া আট শতাংশ বেশি৷

এফএস/কেএম