কূটনৈতিক সম্পর্ক
৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ক্যানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন বেয়ার্ড শুক্রবার ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানান৷ তবে হঠাৎ করে এই মুহূর্তে কেন এমন সিদ্ধান্ত তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি বেয়ার্ড৷ তিনি বলেন, ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে এবং তেহরান থেকে ক্যানাডীয় দূতাবাসের আট কূটনীতিককে প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ এছাড়া অটোয়ায় অবস্থিত ইরান দূতাবাসের ১৭ জন কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে ক্যানাডা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে৷
এক বিবৃতিতে জন বেয়ার্ড বলেন, ‘‘বর্তমান বিশ্বের শান্তি এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইরান সরকারকে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করে ক্যানাডা৷'' এছাড়া সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিয়মিত হুমকি প্রদর্শনের জন্য ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে অটোয়া৷ পাশাপাশি পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে ভিয়েনা সমঝোতার প্রতি অবজ্ঞা এবং তেহরানে অবস্থিত কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তেহরান, বলেও উল্লেখ করেন বেয়ার্ড৷ ক্যানাডার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷
ক্যানাডার এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরপরই ইরানের উপর আরো কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে ইইউ৷ সাইপ্রাসে ইইউ পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেন, ‘‘আমরা এক মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি৷ ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র আমরা মেনে নিতে পারি না৷'' ইরানের অর্থ, তেল এবং বাণিজ্যিক খাতসমূহের উপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেন ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রী লরঁ ফাবিয়ুস৷
তবে ক্যানাডার এমন কঠিন সিদ্ধান্তের ‘যথাযথ জবাব' দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাস্ত৷ ইরানি বার্তা সংস্থা ইসনা জানিয়েছে, মেহমানপারাস্ত বলেছেন, ‘‘ক্যানাডার বর্তমান সরকার এক চরমপন্থী সরকার৷ তারা ইসরায়েলের ‘জায়নিস্ট' প্রশাসনের দ্বারা প্রভাবিত, যারা ইরানি জনগণের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘ক্যানাডা ইরানের ব্যাপারে তাদের সাম্প্রতিক নীতির ক্ষেত্রে ইসরায়েলের স্বার্থে নিজেদের জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে৷''
এএইচ / আরআই (ডিপিএ, এএফপি)