1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাম সম্মেলন

৩১ আগস্ট ২০১২

সিরিয়া নিয়ে ন্যাম সম্মেলনে কথা চালাচালি চলছে ইরান আর মিশরের মধ্যে৷ মিশরের প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে রাজনৈতিক অপরিপক্কতা বলে সমালোচনা করলো ইরান৷ এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানালো মিশরকে৷

https://p.dw.com/p/161LN
ছবি: Reuters

বৃহস্পতিবার জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) সম্মেলনের উদ্বোধনীতে সিরিয়া প্রসঙ্গে বেশ কড়া কথা বলেছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা এখন নৈতিক দায়িত্ব এবং রাজনৈতিক প্রয়োজন হয়ে পড়েছে সিরিয়ার জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা, যারা অবৈধ একটি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে৷ তিনি আরও বলেন, এটা স্বীকার করতে হবে যে আমাদের সকলের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই রক্তপাত বন্ধ হবে না৷ সিরিয়ার মুক্তি যারা চায় তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন ঘোষণা করতে হবে৷''

সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে মুরসির এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে সিরিয়ার আসাদ প্রশাসনের কর্মকর্তারা৷ ফলে স্বাগতিক ইরানের জন্য বিষয়টি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ কারণ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে স্পষ্টতই বাশার আল আসাদের পক্ষ নিয়েছে ইরানের সরকার৷ অন্যদিকে ইরানের অনেক কর্মকর্তাও মুরসির এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন৷ তাদের মধ্যে ইরানের সংসদের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা হোসেইন শাইখহোলেস্লাম প্রথম প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট মুরসির সমালোচনা করলেন৷ ফরাসি সংবাদ মাধ্যম মেহর-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মুরসির সম্পর্কে বলেন, ‘‘এই বক্তব্য দিয়ে তিনি মিশরের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন যা ন্যাম সম্মেলনের মূলনীতির লঙ্ঘন৷ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে ন্যাম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করার মত যথেষ্ট রাজনৈতিক পরিপক্কতা প্রেসিডেন্ট মুরসির নেই৷''

ইরানের কাছ থেকে এই সমালোচনা আসার পর স্পষ্টতই ন্যাম সম্মেলনে জোট নিরপেক্ষ পরিস্থিতি আর থাকেনি৷ সিরিয়া নিয়ে সেখানে মধ্যপ্রাচ্যের বড় দুই দেশের মতপার্থক্য সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন৷ এর আগে ন্যাম সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার জন্য মিশরের প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে এখন তারা মিশরীয় প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের অন্যতম মুখপাত্র প্যাট্রিক ভেনট্রেল জানিয়েছেন, সিরিয়া নিয়ে মুরসির বক্তব্য ছিলো অত্যন্ত স্পষ্ট এবং জোরালো৷ তার এই বক্তব্য সিরিয়ার আসাদ বিরোধীদের জন্য সহায়ক হবে৷ ভেনট্রেল বলেন, ‘‘তেহরানে কিছু লোকের এই কথা শোনা দরকার ছিলো এবং প্রেসিডেন্ট মুরসি সেটি তাদের শুনিয়েছেন৷''

এদিকে সিরিয়া নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও বৃহস্পতিবার অবশ্য বৈঠক করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি৷ দুইদিনব্যাপী ন্যাম সম্মেলন শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার৷

আরআই/এসবি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য