1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ

৭ নভেম্বর ২০২২

চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৩ সালে ইউক্রেনকে বিশাল আর্থিক সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ রাশিয়ার হামলায় বিপর্যস্ত অবকাঠামো ইউক্রেনের মানুষের জীবনযাত্রা হুমকির মুখে ফেলছে৷

https://p.dw.com/p/4J8dW
২০২৩ সালে ইউক্রেনের জন্য ১,৮০০ কোটি ইউরো পর্যন্ত আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব পেশ করতে চলেছেন ফন ডেয়ার লাইয়েন৷
গতমাসে কিয়েভে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কিছবি: Sergei Supinsky/AFP/Getty Images

গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাশিয়ার হামলা সত্ত্বেও ইউক্রেন অনেক হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে৷ গোটা দেশের অবকাঠামো ও বেসমারিক স্থাপনার উপর রাশিয়ার লাগাতার হামলা সত্ত্বেও সে দেশের সেনাবাহিনী শীতের আগে যতটা সম্ভব অধিকৃত এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম এবং রাশিার সামরিক ক্ষমতা খর্ব করতে চাইছে৷ কিন্তু জরুরি অবকাঠামোর উপর হামলার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে৷ বিশেষ করে বিদ্যুৎ, পানি ও ঘর গরম রাখার উত্তাপ সরবরাহের অভাবে এমনকি রাজধানী কিয়েভ থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাবার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে৷

এমন সংকটের মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের জন্য আরও দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার অঙ্গীকার করছে৷ ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন রোববার সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন৷ ২০২৩ সালে ইউক্রেনের জন্য ১,৮০০ কোটি ইউরো পর্যন্ত আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব পেশ করতে চলেছেন ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ এর আওতায় সহজ শর্তে সুদবিহীন দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবার লক্ষ্যে সংস্কার ও দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ার জন্যও সেই অর্থ কাজে লাগানো হবে বলে ইইউ কমিশন আশা করছে৷ কমিশনের মতে, ইউক্রেনের দুর্দিনে অন্যান্য দাতাদেরও ইইউ-র মতো আর্থিক সহায়তা দিতে হবে৷ উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ইইউ শীর্ষ নেতারা ইউক্রেনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৯০০ কোটি ইউরো মঞ্জুর করেছিলেন৷ এর মধ্যে ৩০০ কোটি ইউরো ইতোমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে৷ চলতি বছরের শেষের মধ্যে আরও ৩০০ কোটি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ বাকি অংক ইইউ-র প্রস্তাবিত সহায়তার অংশ হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷

ইইউ ও অন্যান্য দাতাদের আর্থিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা সত্ত্বেও ইউক্রেন শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার হামলা সামলে শীতকালে সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহনীয় করে তুলতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো বলেন, নাগরিক জীবনযাত্রা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা এড়াতে প্রশাসন যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে৷ তিনি বলেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কি আমাদের শত্রু শহরে উত্তাপ, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ধ্বংস করার লক্ষ্যে সব চেষ্টা চালাচ্ছে, যাতে আমরা মরে যাই৷'' ক্লিচকোর মতে, বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির উপর সবার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে৷ ইউক্রেনের প্রশাসন রাজধানী কিয়েভে বিদ্যুৎ ঘাটতি সামলাতে রোববার নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত শহরেও একইভাবে সীমিত বিদ্যুৎ বণ্টন করার তোড়জোড় চলছে৷

এসবি/জেডএইচ (ডিপিএ, এপি)