1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

ইউক্রেন রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের ছাড়পত্র চাইছে

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মার্কিন ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কিয়েভ সফরের সময়ে ইউক্রেনের নেতৃত্ব রাশিয়ার ভূখণ্ডে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাধা তুলে নেওয়ার ডাক দিয়েছে৷ শুক্রবার দুই দেশের শীর্ষ নেতারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন৷

https://p.dw.com/p/4kXRv
কিয়েভে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন পররাষ্টরমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি
কিয়েভে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন পররাষ্টরমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিছবি: Leon Neal Pool via REUTERS

রাশিয়ার ভূখণ্ডে কুর্স্ক অঞ্চলে হামলা চালিয়ে এখনো সেখানকার জমি দখল করে রয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী৷ রুশ সেনাবাহিনী সেই অঞ্চল উদ্ধার করতে না পারলেও ইউক্রেনের ভূখণ্ডের আরো অংশ বেদখলের উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার মোকাবিলা করতে পশ্চিমা বিশ্বের কাছ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র চাইছেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির যৌথ কিয়েভ সফরের সময়ে জেলেনস্কি এমন দাবি জানিয়েছেন৷ তিনি রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে চান৷ ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহালও ল্যামিকে এমন ছাড়পত্রের অনুরোধ করেছেন৷ নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিগা সেই ছাড়পত্র চেয়েছেন৷ শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ওয়াশিংটনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছেন৷ বাইডেন অবশ্য এতকাল রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা এড়াতে সতর্ক অবস্থান নিয়ে এসেছেন৷

ল্যামি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তিনি ইউক্রেনের মানুষ ও নেতৃত্বের বক্তব্য শুনতে এবং কৌশল বুঝতে কিয়েভে এসেছেন৷ তিনি ইউক্রেনের জন্য ব্রিটেনের ৬০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি সহায়তার ঘোষণা করেন৷ সেইসঙ্গে ব্রিটেন চলতি বছরই কয়েকশো এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সরবরাহ করবে৷ উল্লেখ্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা অস্ত্র প্রয়োগের প্রশ্নে ব্রিটেন শুরু থেকেই বেশ সাহসি পদক্ষেপ নিয়ে এসেছে৷

চলতি বছরের শীতকালে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের কী অবস্থা থাকবে এবং রাশিয়া সে দেশের অবকাঠামোর উপর আবার কতটা হামলা চালাবে, সে বিষয়ে একটা আগাম ধারণা পাওয়ার চেষ্টা চলছে৷ নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সে দেশ ইউক্রেনের জন্য সহায়তা চালিয়ে যেতে পারবে কিনা, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে৷ অন্যদিকে রাশিয়া সম্প্রতি ইরানের কাছ থেকে কম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাওয়ার ফলেও কিয়েভে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ ব্লিংকেন ইউক্রেনের জন্য ৭১ কোটি ৭০ লাখ ডলার অংকের নতুন অর্থনৈতিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন৷ তার মধ্যে অর্ধেক ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর জন্য ব্যয় করা হবে৷

ব্লিংকেন রাশিয়ার প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের বিরুদ্ধে ‘উইন্টার প্লেবুক' অনুযায়ী শীতকালে ইউক্রেনের মানুষের বিরুদ্ধে শীতকে হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের অভিযোগ করেন৷ ইউক্রেনের সহায়তাকারী জোটের দৃঢ় প্রত্যায়ের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনের জন্য সহায়তা ও ঐক্যে কোনো চিড় ধরবে না৷ ইউক্রেনের প্রতি নিজের ব্যক্তিগত সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে ব্লিংকেন বলেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই অ্যামেরিকা পরিস্থিতি অনুযায়ী সহায়তা স্থির করেছে৷ ভবিষ্যতেও এমনটা করা হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য