তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করলো রাশিয়া
২৮ আগস্ট ২০২৪৬ আগস্ট রাশিয়ার পশ্চিমের কুরস্ক অঞ্চলে হামলা করে কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেন৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই রাশিয়ার উপর বাইরের শক্তির সবচেয়ে বড় হামলা৷ এই হামলার যথাযথ জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷
ব্রিটিশ ট্যাঙ্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে কুরস্কে হামলা হয়েছে বলে রাশিয়া অভিযোগ করেছে৷ কিয়েভও নিশ্চিত করেছে, কুরস্কে সেতু ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের হাইমার্স মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে৷
তবে ওয়াশিংটন বলছে, কুরস্কে হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের পরিকল্পনা তাদের আগে জানানো হয়নি৷ হামলায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে৷
তবে পুটিনের বিদেশি গোয়েন্দা প্রধান সের্গেই নারিশকিন বলেছেন, কুরস্কে হামলার সঙ্গে পশ্চিমের সংশ্লিষ্ট না থাকার দাবি মস্কো বিশ্বাস করে না৷ রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা ‘একটি সুস্পষ্ট সত্য'৷
এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কুরস্কে হামলার পর ইউক্রেনকে স্যাটেলাইট ছবি ও অন্যান্য তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন৷ ঐ এলাকায় রুশদের আগমন সম্পর্কে তথ্য পেতে সহায়তা করতে এসব তথ্য দেওয়া হয় বলে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়৷
লাভরভের বক্তব্য
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মঙ্গলবার মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে পশ্চিমা বিশ্ব৷
ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার সময় কিছু শর্ত দিয়েছিল পশ্চিমা বিশ্ব৷ সেই শর্ত সহজ করতে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন৷ সেই অনুরোধ বিবেচনার মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব ‘সমস্যা ডেকে আনছে' বলেও মন্তব্য করেন লাভরভ৷
‘‘আমরা আবার নিশ্চিত করছি, পশ্চিমা দেশগুলোতে যে প্রাপ্তবয়স্ক চাচা ও চাচীদের পরমাণু অস্ত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের জন্য আগুন নিয়ে খেলা খুব বিপজ্জনক৷ মনে হচ্ছে, তারা ম্যাচ নিয়ে খেলা ছোট বাচ্চা,'' বলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ৷ ‘‘মার্কিনিরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে দ্ব্যর্থহীনভাবে এমন কথা বলে যেন, ঈশ্বর না করুক, যদি (বিশ্বযুদ্ধ) শুরু হয়ে যায়, তাহলে সেটা শুধু ইউরোপকে প্রভাবিত করবে,'' বলেন তিনি৷
লাভরভ বলেন, নিউক্লিয়ার ডকট্রিন আরো ‘স্পষ্ট করছে' রাশিয়া৷ দেশটির ২০২০ সালের নিউক্লিয়ার ডকট্রিনে প্রেসিডেন্ট কোন বিবেচনায় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাববেন, তা বলা আছে৷ এতে বলা হয়, পরমাণু বা অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্র বা প্রচলিত অস্ত্র দিয়ে হামলার শিকার হওয়ার পর ‘দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে' প্রেসিডেন্ট পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবতে পারেন৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)