1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমফান: কলকাতায় এখনও বিদ্যুৎহীন এক লাখ

২৭ মে ২০২০

আমফানের তাণ্ডবে কলকাতায় সাড়ে পাঁচ হাজার গাছ পড়ে গিয়েছিলো। অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যায়। এখনও এক লাখ লোক অন্ধকারে।

https://p.dw.com/p/3cphe
ছবি: DW/P. Samanta

আমফানের পর কেটে গিয়েছে সাতদিন। এখনও কলকাতার এক লাখ লোকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। যারা কলকাতায় বিদ্যুৎ সংযোগের দায়িত্বে সেই সিইএসসি-র দাবি ৯৭ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। তিন শতাংশ মাত্র বাকি। দ্রুত সেখানেও পৌঁছে যাবে। তারাই জানিয়েছে, এক লাখ লোকের কাছে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছনো বাকি।

আর যাঁরা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না, তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পথ অবরোধ করছেন। বিদ্যুৎ নেই মানে জলও নেই। এমনকী বুধবার মেটিয়াবুরুজে দুই বস্তিতে সংঘর্ষও হয়েছে। এক বস্তিতে বিদ্যুৎ এসে যায়। পাশের বস্তিতে আসেনি। এই নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

কলকাতার যখন এই অবস্থা, তখন জেলাগুলির অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। চলছে বিক্ষোভ। বুধবারও শাসন, দেগঙ্গায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন লোকেরা। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মীরা গিয়ে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর অবরোধ ওঠে। এছাড়া বারুইপুরেও দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ।

এই সব বিক্ষোভে রাজনৈতিক নেতাদেরও দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের বিধানসভায় বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান মঙ্গলবার হুগলির শেওড়াফুলিতে জি টি রোড অবরোধে ছিলেন। জেলাগুলিতে স্থানীয় নেতাদের বিক্ষোভে দেখা যাচ্ছে। 

তবে করোনা ও আমফানের পর কলকাতা ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। বুধবার থেকে অটো চলতে শুরু করেছে। অবশ্য অটোতে দুই জনের বেশি যাত্রী বসতে পারবেন না। শুরু হয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। যাত্রীদের মাস্ক পরতে হচ্ছে। হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে বাসে উঠতে হচ্ছে।

বুধবারই মহারাষ্ট্র থেকে ৪১টি ট্রেনে করে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরার কথা। এই ট্রেন নিয়েও প্রচুর জলঘোলা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আগে থেকে কথা না বলে রেলমন্ত্রক ট্রেন দিয়ে দিয়েছে। রাজ্য চাইছিলো, দিন কয়েক পরে এই ট্রেন আসুক। এই নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গেও কথা হয়। কিন্তু রেলমন্ত্রক তারপরে ট্রেন পাঠিয়ে দেওয়ায় সেই সময়টা পাওয়া যায়নি।

 জিএইচ/এসজি(এএনআই, আবাপ)