1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইনজীবীর বয়ানে বিমান বিতর্কে নতুন মোড়

২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিকারাগুয়াগামী বিমান ফ্রান্স থেকে ফিরে এসেছে মুম্বইয়ে। বিমান সংস্থার আইনজীবীর দাবি যাত্রীদের হোটেল বুকিং এবং ফেরার টিকিট ছিল।

https://p.dw.com/p/4abu5
বিতর্কিত বিমান দাঁড়িয়ে ফরাসি বিমানবন্দরে
নিকারাগুয়াগামী বিমান এখন মুম্বইয়েছবি: Christophe Ena/AP Photo/picture alliance

রোমানিয়ার লেজেন্ড এয়ারলাইনের বিমানে ৩০৩ জন যাত্রী দুবাই থেকে নিকারাগুয়া যাচ্ছিলেন। ফ্রান্সে বিমানটি তেল ভরার জন্য নেমেছিল। ফ্রান্সের বিমানবন্দরে সে সময় কোনো এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, ওই বিমানে মানবপাচার হচ্ছে। এরপরেই ফ্রান্স বিমানটিকে আটকে দেয়। শেষপর্যন্ত বিমানটিকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারণ, বিমানে অধিকাংশ ভারতীয় যাত্রী ছিলেন।

এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন পর্যায়ে বিতর্ক চলছে। সোমবার এই বিতর্কে নতুন মোড় এনেছেন বিমান সংস্থার আইনজীবী লিলিয়ানা বাকাওকো। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ওই বিমানের অধিকাংশ যাত্রীর কাছে ফেরার টিকিট ছিল। তাদের কাছে বৈধ হোটেল বুকিংয়ের কাগজও ছিল। ফলে ফ্রান্স যে সন্দেহে বিমানটিকে কার্যত আটক করে রেখেছিল, তা ভিত্তিহীন। মানবপাচারের যে অভিযোগ উঠছে, তা-ও ভিত্তিহীন।

ফ্রান্সের যে আদালতে বিষয়টি উঠেছিল, সেখানে বলা হয়েছিল, ৩০৩ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র ১২ জনের কাছে ফেরার টিকিট আছে। শুধু তা-ই নয়, হোটেল বুকিংয়ের কাগজ তাদের কাছে ছিল না। লিলিয়ানার বক্তব্য, ফ্রান্সে তার যে সহকর্মীরা আদালতে গেছিলেন, তারা তাকে জানিয়েছেন যে, অধিকাংশ যাত্রীর কাছে ফেরার টিকিট ছিল। কিন্তু আদালত কেবলমাত্র তিনজন যাত্রীর কথা শুনেছে।

বস্তুত, ওই বিমানের ৩০৩ জন যাত্রীর মধ্যে ২৯৯ জন ভারতীয়। সে কারণেই ফরাসি আদালত বিমানটিকে ভারতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মতো মুম্বইয়ে এসে পৌঁছেছে বিমানটি।

সংবাদসংস্থা এএফপি-কে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ফরাসি বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই বিমানে মানবপাচার করা হচ্ছিল। দুবাই থেকে নিকারাগুয়া হয়ে ওই যাত্রীদের অ্যামেরিকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। ফ্রান্সের বিমানবন্দরে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করার পর বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। ফরাসি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেই আদালত পর্যন্ত যায়।

মুম্বই বিমানবন্দরে নামার পর যাত্রীদের সঙ্গে সংবাদমাধ্যম কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু দৃশ্যত যাত্রীদের পালাতে দেখা যায়। ক্যামেরার সামনে কেউ মুখ খুলতে চাননি। এদিকে ফরাসি আদালতের কাছে আবেদন করে বেশ কিছু যাত্রী ফ্রান্সে থেকে গেছেন। তারা সেখানে অভিবাসনের আবেদন জানিয়েছেন।

সব মিলিয়ে ঠিক কী ঘটেছিল ওই বিমানে, সত্যি মানবপাচার হচ্ছিল কি না, সেই ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। বিমানসংস্থাটি সোমবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি করে দিল।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএফপি)