1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিফ্রান্স

‘মানব পাচার' সন্দেহে ৩০৩ ভারতীয়সহ বিমান নামালো ফ্রান্স

২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

‘মানব পাচার' করা হচ্ছে এই সন্দেহে ৩০০ জনেরও বেশি ভারতীয়কে নিয়ে নিকারাগুয়াগামী একটি বিমানকে ফ্রান্সের বিমানবন্দরে আটক করা হয়।

https://p.dw.com/p/4aWf2
বিমানটি বৃহস্পতিবার পূর্ব ফ্রান্সের ভ্যাট্রি বিমানবন্দরে জ্বালানির জন্য থামে৷ সেখানে তাদের আটক করা হয়
বিমানটি বৃহস্পতিবার পূর্ব ফ্রান্সের ভ্যাট্রি বিমানবন্দরে জ্বালানির জন্য থামে৷ সেখানে তাদের আটক করা হয়ছবি: Francois Nascimbeni/AFP

এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মাধ্যমে তথ্য পেয়ে বিমানটিকে আটকান ফরাসি কর্মকর্তারা৷

শনিবার এএফপিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩০০ জনেরও বেশি ভারতীয় যাত্রীর মধ্যে ১৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বয়স ২১ মাস থেকে ১৩ বছরের আশেপাশে।

সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শনিবার সকালেও ৩০৩ জন যাত্রী বিমানবন্দরের লাউঞ্জ হলে ছিলেন। এএফপির একজন সাংবাদিক এটা দেখেছেন। লাউঞ্জ হলের কাঁচের বাইরের অংশ এবং আশেপাশের প্রশাসনিক ভবনগুলো ত্রিপলে ঢেকে দেয়া হয়েছিল। সেখানে কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না।

বিমানসংস্থার আইনজীবী লিলিয়ানা বাকায়োকো বলেছেন, সমস্ত ক্রু সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ারঅনুমতি দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার প্যারিসের বিচার বিভাগীয় কর্তারা জানিয়েছিলেন, ‘মানব পাচারের' অভিযোগে ৩০০ জনের বেশি ভারতীয় যাত্রী নিয়ে নিকারাগুয়াগামী বিমানকে কর্তৃপক্ষ আটক করে৷ ফ্রান্সের পুলিশ দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংগঠিত অপরাধ দমনে বিশেষজ্ঞদের একটি ইউনিট মানব পাচার সন্দেহের তদন্ত করছে৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিসের বিবৃতি অনুসারে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রওনা দেয়া ফ্লাইটে যারা ছিলেন, তারা খুব সম্ভবত মানব পাচারের শিকার।

রোমানিয়া ভিত্তিক চার্টার কোম্পানি লিজেন্ড এয়ারলাইন্স দ্বারা পরিচালিত এ-৩৪০ বিমানটি বৃহস্পতিবার পূর্ব ফ্রান্সের ভ্যাট্রি বিমানবন্দরে জ্বালানির জন্য থামে৷ সেখানে তাদের আটক করা হয়।

প্রসিকিউটর অফিস শুক্রবার জানায়, "৩০৩ জন যাত্রী এবং কেবিন ক্রুদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷"

বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, কর্মকর্তারা যাত্রীদের পরীক্ষা করে দেখছেন যে কোন পরিস্থিতিতে বিমানে রওনা দিয়েছিলেন৷ যাত্রীদের ভ্রমণের উদ্দেশ্যও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

বিমানটিকে আটক করার পর যাত্রীদের প্রথমে সেখানে থাকতে বলা হয়েছিল৷ তারপরে তাদের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে তাদের থাকার জন্য আলাদা বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷

এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি বিবৃতিতে ফ্রান্সে ভারতীয় দূতাবাস বলেছিলো, প্যারিসের কর্তৃপক্ষ তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছে৷

সেখানে বলা হয়, "খবর পেয়েই দূতাবাসের দল বিমানবন্দরে পৌঁছেছে৷ আমরা পরিস্থিতি তদন্ত করছি এবং যাত্রীদের সুস্থতাও নিশ্চিত করার সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি।"

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিমানটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে উড়েছিল। তবে সন্দেহের ভিত্তিতে এবং সুরক্ষার কারণে ফ্রান্সের বিমানবন্দরে যাত্রা স্থগিত করা হয়। ফ্রান্সের বিচার বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

আরকেসি/এআই (এপি, এএফপি, রয়টার্স)