1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিসুদান

সুদানে লড়াই চলছে, মৃত্যু বেড়ে ৯৭

১৭ এপ্রিল ২০২৩

সুদানে এখন সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৭। মধ্যস্থতার প্রস্তাব মিশর ও সাউথ সুদানের।

https://p.dw.com/p/4QAjR
রাজধানী খার্তুমের ছবি।
রাজধানী খার্তুমের ছবি। ছবি: AFP

লড়াই শুরু হয়েছিল শনিবার। সোমবারেও তা চলছে। রাজধানী খার্তুম ও অন্যান্য অংশে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে। মাঝখানে তিনঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ছিল। বলা হয়েছিল, এই সময়ের মধ্যে বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে হবে।

চিকিৎসকদের সংগঠন জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অন্তত ৯৭জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন ছয়শ জন।

সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মানুষ যেন রাস্তায় না বের হন। স্কুল, ব্যাংক, সরকারি অফিস সব বন্ধ। দুই পক্ষই দাবি করেছে, তারা বিমানবন্দর-সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি দখল করে নিয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস সামরিক নেতা আব্দেল-ফতেহ বুরহান এবং আধাসামরিক বাহিনীর নেতা হামদান ডাগালোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাদের অবিলম্বে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছেন। তার আবেদনে এখনো পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জানিয়েছেন, সুদানের পরিস্থিতিতে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন।

বুরহান দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যূত করেন। এখন সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। ফলে কারা সুদানের দখল নেবে তা নিয়ে লড়াই চলছে। সেনার তরফ থেকে ফেসবুকে বলা হয়েছে, হামদান একজন অপরাধী। তিনিই যুদ্ধ শুরু করেছেন।

এই সংঘর্ষের জেরে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম সাময়িকভাবে তাদের কাজকর্ম স্থগিত রেখেছে। কারণ, তাদের তিনজন কর্মী মারা গেছেন এবং দুইজন আহত হয়েছেন। সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানিয়েছেন, কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে তারা কাজ শুরু করবেন না।

মধ্যস্থতার প্রস্তাব

মিশর ও সাউথ সুদান এই বিরোধ মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। মিশর ও সাউথ সুদানের প্রেসিডেন্ট নিজেদের মধ্যে ফোনে কথা বলেছেন। তাদের মতে, সুদানে উত্তেজনা কমানো জরুরি। না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। সেজন্যই তারা মধ্যস্থতা করতে চান।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)