1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় জুম্মাবারে নিহত ১৫, দাবি আন্দোলনকারীদের

২৫ জুন ২০১১

সিরিয়ায় জুম্মাবারে নতুন করে সরকার বিরোধী আন্দোলনে কমপক্ষে ১৫ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে৷ শুক্রবার সেদেশের একাধিক শহরে বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েকহাজার মানুষ৷ এদিকে, সিরিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরো কড়া করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷

https://p.dw.com/p/11jHB
Syrian refugees protest against President Bashar Assad, in a camp in Yayladagi, Turkey, near the Syrian border, Wednesday, June 15, 2011. Syria's government is calling for the return of thousands of refugees who fled to Turkey to escape violence in northern Syria. Syrian Information Minister Adnan Mahmoud says security, electricity, water and communications have now been restored in Jisr al-Shughour and the area is now safe. Some 8,000 Syrians have sought refuge in camps in neighboring Turkey following a military crackdown that authorities said was to snuff out "armed terrorists" in the region.(Foto:Vadim Ghirda/AP/dapd)
সিরিয়া ছেড়ে তুস্কে আশ্রয় নিচ্ছে অনেক সিরীয়ছবি: dapd

জুম্মাবারে আন্দোলন

আন্দোলনকারীদের দাবি, সিরিয়ায় শুক্রবারের প্রার্থনার পর নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুঁড়েছে৷ রাজধানী দামেস্ক এবং অন্যান্য শহরে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায় নিরাপত্তা বাহিনী৷ দামেস্কের দক্ষিণের একটি মসজিদের কাছে বিক্ষোভকারীদের উপর সেনারা গুলি চালালে পাঁচ ব্যক্তি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়৷ রাজধানীর বারজা শহরে নিশানাবাজ বন্দুকধারীদের গুলিতে প্রাণ হারায় কমপক্ষে তিন ব্যক্তি৷ তবে সেদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, সেনারা নয় বরং অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে৷ এছাড়া, হোমস এবং কুয়াসির শহরেও প্রাণ হারিয়েছে একাধিক বিক্ষোভকারী৷

বলাবাহুল্য, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এর বিরুদ্ধে গত মার্চে শুরু হয় আন্দোলন৷ এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা তেরশোর বেশি৷ সেদেশে গণমাধ্যমের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ তাই এই হতাহতের বিষয়ে স্বাধীনভাবে কোন তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়নি৷

A convoy of Lebanese army vehicles patrols a street in Tripoli, on Saturday June 18 2011, where clashes broke out between Sunni and Alawite groups on Friday, after a demonstration of the anti-Syrian regime protesters in Tripoli, northern Lebanon. A senior member of a Lebanese political party allied with Syria and an off-duty soldier were killed Friday after gunmen opened fire and lobbed a grenade near hundreds of people holding an anti-Assad protest in northern Lebanon, a security official said in Beirut. (Foto:Hussein Malla/AP/dapd)
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমাতে রাস্তায় সেনাবাহিনীছবি: dapd

হাতিয়ার ফেসবুক

সিরিয়ায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শুক্রবারে বিশেষ আন্দোলনের ঘোষণা দিচ্ছিলেন বিক্ষোভকারীরা৷ এই ঘোষণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুক৷ এবারের আন্দোলনের স্লোগান ছিল, ‘‘বাশার আর আমাদের প্রেসিডেন্ট নন, তাঁর সরকার আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে না''৷ ফেসবুকে এই আহ্বানে সাড়া দিয়েই শুক্রবার পথে নামে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী৷

সিরিয়া ছেড়ে তুরস্কে

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দেড় হাজার এর বেশি সিরীয় নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে পৌঁছেছে৷ সিরিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন খাইরবাট আল-জের শহরে সেনারা অভিযান শুরু করলে গ্রামবাসী সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে আশ্রয় নেয়৷ বর্তমানে প্রায় বারো হাজার সিরীয় তুরস্কে শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে৷

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মন্তব্য

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন সিরিয়ার সরকারবিরোধী দমনপীড়নকে আখ্যা দিয়েছেন ‘খুবই যন্ত্রণাদায়ক' হিসেবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরো কড়া করেছে৷ বাশার প্রশাসনের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির সম্পদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ এই তালিকায় ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের তিন সদস্যকেও যুক্ত করা হয়েছে৷ তাদেরকে ইইউভুক্ত কোন দেশের ভিসা প্রদান করা হবে না৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য