1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসাদের সমর্থনে সিরিয়া জুড়ে মিছিল

২১ জুন ২০১১

সোমবার ছিল প্রেসিডেন্টের তিন নম্বর ভাষণ৷ আর মঙ্গলবারেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রেসিডেন্ট আসাদের সমর্থনে একাধিক মিছিল বেরিয়েছে৷ জিসর আল শুগুরে পর্যবেক্ষণে গিয়েছিল জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল আর আসাদ ঘোষণা করেছেন সাধারণ ক্ষমা৷

https://p.dw.com/p/11gH0
Assad
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদছবি: dapd/Syrian TV

সোমবারে আসাদের ভাষণের পরেই আজ মিছিল

এই বিভিন্ন শহরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে বিশাল বিশাল মিছিল বের করার একটা সোজা ইঙ্গিত খুব স্পষ্ট৷ তা হল, আসাদের পক্ষে কী বিপুল পরিমাণে জনসমর্থন রয়েছে সিরিয়ায় তা প্রমাণ করা৷ যে কারণে শুধু রাজধানী দামেস্কেই নয়, মিছিল দেখা গেছে, ডেরা, হাম, হোমস সহ সিরিয়ার সবকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই৷

Syria
মিছিলে আসাদ সমর্থকরা তাঁর সংস্কার প্রস্তাবের সমর্থনে জিগির তুলেছেছবি: picture alliance/dpa

আসাদের নতুন ক্ষমার ঘোষণা আর তার প্রতিক্রিয়া

বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার ঘোষণা তো প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সোমবারে তাঁর তৃতীয় ভাষণে করেইছিলেন৷ মঙ্গলবার আবার শোনা গেল আরেক প্রস্থ নতুন ধাঁচের কথা৷ বললেন, ২০ জুন পর্যন্ত যাবতীয় অপরাধের সাধারণ ক্ষমা ঘোষিত হল৷ যে ক্ষমা ঘোষণা-র সরলার্থটি অন্য মানে দিচ্ছে৷ এ হল আরেকটি ইঙ্গিত তাঁর বিরোধীদের দিকে৷ গত মার্চ থেকে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যারা অন্য শিবিরে পা রেখেছে, তাদের ফিরিয়ে আনার একটা চেষ্টাও৷ এর আগেও ২১ মে তারিখে সিরিয়ায় জেলবন্দি রাজনৈতিক মামলায় অভিযুক্তদের সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে মুক্তি দিয়েছিলেন আসাদ৷ তাদের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের সেইসব কুখ্যাত সদস্যরাও ছিল, যাদের জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার করে জেলবন্দি করা হয়েছিল৷ মঙ্গলবার সিরিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত বড় বড় মিছিলগুলিতে আসাদ সমর্থকরা তাঁর সংস্কার প্রস্তাবের সমর্থনে জিগির তুলেছে৷ সব মিছিলেই আসাদের বিশাল বড় বড় পোস্টার নিয়ে আসতে দেখা গেছে তাঁর সমর্থকদের৷

Syria
মিছিল হয়েছে ডেরা, হাম, হোমস সহ সিরিয়ার সবকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেইছবি: dapd

জিসর আল শুগুরে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ

তুরস্কের সীমান্তবর্তী জিসর আল শুগুর এবং তার আশপাশের চল্লিশ কিলোমিটার এলাকা আজ মঙ্গলবার ঘুরে দেখে এলেন জাতিসংঘের শরণার্থী কল্যাণ সংস্থার সদস্যরা৷ আসাদ সরকারের সরকারি ব্যবস্থাপনাতেই এই পর্যবেক্ষণের পর তাঁদের প্রাথমিক রিপোর্ট জানিয়েছে, পুরো এলাকা শুনশান৷ গ্রামে বা শহরে প্রায় মানুষ নেই বললেই চলে৷ যে ক'জন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে পেরেছেন, তারা সকলেই জানিয়েছে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন পরিস্থিতির কথা৷ আতঙ্কের ছাপ সকলের চোখেমুখে৷ থমথমে অবস্থা পুরো এলাকায়৷ প্রসঙ্গত, ক'দিন আগেই এই জিসর আল শুগুরে পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য সেনা সদস্যের গণকবর৷ আসাদ সরকারের দাবি, স্থানীয় বিদ্রোহীরা তাদের হত্যা করেছিল৷ তবে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবিই সেখানে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য