1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাত্তার ভূঞাকে পাস করিয়ে আনা হবে: রুমিন ফারহানা

১৬ জানুয়ারি ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী দলছূট উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার পক্ষে কাজ করবে না এবং ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেত্রী রুমিন ফারহানা আশুগঞ্জে এক সেমিনারে৷

https://p.dw.com/p/4MDrk
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী দলছূট উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার পক্ষে কাজ করবে না এবং ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেত্রী রুমিন ফারহানা আশুগঞ্জে এক সেমিনারে৷
বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানাছবি: DW

রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্টে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক সেমিনারে সাবেক এই সংসদ সদস্য এ কথা বলেন৷ 

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক এ সম্পাদক বলেন, "ওনাকে (আব্দুস সাত্তার ভূঞা) পাশ করিয়ে আনা হবে৷ এখানে তো ভোট হচ্ছে না, আপনারাও বুঝতে পারছেন৷ আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী ছিলেন তারা বসে পড়ছেন৷ তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন না৷ 

"তার মানেটা কী? তারা জানেন যে একটা কলাগাছ দাঁড়ালেই ওনার সঙ্গে পাশ করবে৷ ওনার কোনো ভোট নাই৷ বিএনপির ভোট ওনার নাই, আওয়ামী লীগের ভোটও ওনার নাই৷ যে দাঁড়াবে সেই পাশ করবে৷” 

তিনি আরও বলেন, "এই ঝুঁকিটাও আওয়ামী লীগ নিতে চাচ্ছে না৷ তাই আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী ছিলেন তারা বসে পড়ছেন, সম্ভবত তাকে ডিক্লেয়ার দিয়ে পাশ করিয়ে আনা হবে৷ শেষ জীবনে উনার কর্মফল উনি ভোগ করবেন৷”  

দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তারসহ বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে৷ ছেড়ে দেওয়া এসব আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷

তার আগে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদসহ বিএনপির সব ধরনের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান তিনি৷ পরে তাকে দলীয় সব পদ ও প্রাথমিক সদস্য থেকে বহিষ্কার করে দল৷

উকিল আব্দুস সাত্তার কুমিল্লা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ছিলেন৷ তিনি ২৮ বছর জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন৷

নিজের ছেড়ে দেওয়া আসনে উপ-নির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে৷ এর মধ্যে শনিবার আওয়ামী লীগের তিন নেতা উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় সেই গুঞ্জন আরও ডালাপালা মেলে৷ 

বিএনপি এমপিদের পদত্যাগে কার লাভ, কার ক্ষতি?

বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা বলেন, "তিনি (আব্দুস সাত্তার ভূঞা) এমন একটি কাজ করবেন আপনারা যেমন কল্পনা করেননি, দলও কল্পনা করেনি৷ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তিনি বলেছেন, তুমি এলাকায় চলে যাও৷ আমি সেই সময় ভাগ্যগুণে এলাকাতেই ছিলাম৷ তিনি আমাকে এলাকাতে আরও বেশি সময় দিতে বললেন৷”

উনার মধ্যে আমি যেটা দেখলাম, ‘‘বিএনপি এত বড় একটা দল, এত মানুষের সমর্থন, এত মানুষের ভালবাসা, এখানে একজন বা দুইজন মীরজাফর কী করলো না করলো তাতে কিচ্ছু যায়-আসে না৷” 

তিনি বলেন, "ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একটা কথা পরিষ্কার বলেছেন, ঘরে ঘরে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে৷ ভোটের দিন আমরা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাব না৷ অনেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকতে পারে, পারিবারিক সম্পর্ক থাকতে পারে, ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতে পারে কিন্তু সেই সম্পর্কের রেশ ধরে যেন কেউ উকিল আব্দুস সাত্তারের পক্ষে কাজ না করি৷” 

"কেউ যেন একটা ভোট না চাই৷ দল অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছে৷ যারা কাজ করবেন তাদের নাম যেন আমি জমা দেই৷ যদি কোনো পদে থাকেন সেই পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে৷”  

সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, "আমি বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সদস্য৷ তাই আমাকে নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়৷ আন্তর্জাতিকভাবে খুব শক্ত চাপ আছে সরকারের ওপর, আর কোনো নির্বাচনে এভাবে রাতে ভোট করা যাবে না৷ আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ৷” 

আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শাজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব নাসির মুন্সী৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান