1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমঝোতার আবহে ১৭ ঘণ্টায় কেএনএফ-এর তিন ডাকাতি

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৩ এপ্রিল ২০২৪

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, কেএনএফ-এর সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেছে- এমনটি ধরে না নিলে হয়ত এমন উপর্যুপরি ডাকাতি এড়ানো যেতো৷

https://p.dw.com/p/4eOmK
বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখা
বান্দরবানের রুমা শাখার সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ছাড়াও নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র ও গুলিও ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির বিরুদ্ধেছবি: Bating Marma/DW

বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ১৭ ঘণ্টার মাথায় সেই জেলার থানচি উপজেলার আরো দুইটি শাখায় ডাকাতি হয়েছে৷ সশন্ত্র বন্দুকধারীরা দুপুর একটার দিকে থানচির সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে গুলি করতে করতে ঢুকে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়৷
পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আগের রাতে রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান৷ পুলিশের আইজি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা পরিদর্শনে যখন রুমা থানা এলাকায় অবস্থান করছিলেন, তখনই পাশের থানা থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটে৷ ওই ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রুমার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আমরা একটু আগেই বিষয়টি শুনেছি৷ আমরা সতর্ক ছিলাম বলেই তারা এসে পালিয়ে গেছে৷ এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছি৷”

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, " বান্দরবানে দুই দিনে  ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জড়িত বলে জানা গেছে৷ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি৷ আইজিপির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে রয়েছে ৷ তারা সার্বিক দিক খতিয়ে দেখছেন৷ পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছে৷ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দেবেন৷”
এদিকে পুরো বান্দরবান জেলায় বুধবার দুপুরের পর সব ব্যাংকের শাখায় লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়৷

থানচি উপজেলায় তিনটি ‘চাঁদের গাড়িতে' করে ডাকাতরা আসে ৷ ডাকাতির পর তারা ওই গাড়িতে করেই পাহাড়ের রাস্তা ধরে চলে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়৷ এই ঘটনায় স্থানীয়রা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সদস্যদের দায়ী করেছেন৷

যা জানা গেল

থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ঢুকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ভল্ট খুলতে পারেনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন৷ তিনি জানান, "যতটুকু জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় সাত-আট লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা৷”

তিনি বলেন, "ডাকাতরা ব্যাংকের ভল্ট খুলতে না পেরে কাউন্টারে রাখা ও গ্রাহকদের উত্তোলন করা টাকা নিয়ে গেছে৷ ভীতি সৃষ্টি করতে ডাকাতরা ব্যাংকের ভেতরে ব্যাপক গোলাগুলি করেছে৷” দুইটি শাখা ব্যাংক থেকে মোট ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা তারা নিয়ে গেছে বলে সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে৷

থানচি কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার হ্লাসুই থোয়াই মারমা বলেন, "বাইরে তিনটি গাড়ি ছিল৷ ডাকাতরা একযোগে দুইটি ব্যাংকে প্রবেশ করে৷ তারা ব্যাংকের ভিতরে গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে৷ পাশেই পুলিশ ফাঁড়ি আছে ৷ তাদের মধ্যে তাড়াহুড়ো ছিল৷  ব্যাংকের সবাইকে তারা একটি রুমে আটক করে৷ এরপর ভল্টের চাবি না পেয়ে তারা বাইরে যে নগদ টাকা ক্যাশ কাউন্টার গ্রাহকদের কাছে ছিল, তা নিয়ে চলে যায়৷ তারা বেশিক্ষণ অবস্থান করেনি৷”  
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মার্মা ডয়চে ভেলেকে বলেন, "তারা ২০-২৫ জন তিনটি গাড়িতে করে আসে ৷ তারা সবাই ছিল সশস্ত্র এবং কুকি-চীন গ্রুপের পোশাক পরা৷ ব্যাংক দুইটির শাখা পাশাপাশি৷ উপজেলা পরিষদ ও বাজারের মাঝামাঝি৷ সেখানে একটি পুলিশ ফাঁড়িও আছে৷ তারা ব্যাংকের মধ্যে গুলি করতে করতে ঢোকে৷ ব্যাংকের ভিতরেও ব্যাপক গোলাগুলি করে৷”

"ওই ঘটনার পর এলাকার অফিস আদালত ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়৷ লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে,” জানান তিনি৷

অস্ত্রগুলো কোথায় আছে খুঁজে দেখবো: পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন

রুমায় ডাকাতি

এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজের সময় সশস্ত্র ব্যক্তিরা রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়৷ হামলাকারীরা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সদস্য৷

সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিসটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে৷ এটির নীচতলায় থাকেন সরকারি কর্মকর্তারা৷ দ্বিতীয় তলার এক পাশে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখা৷ আরেক পাশে থাকেন ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১০ জন পুলিশ সদস্য৷

ডাকাতরা প্রথমে উপজেলা পরিষদ মসজিদে ঢুকে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে ধরে নিয়ে যায়৷ তারপর তারা ব্যাংকের ভল্ট খুলে টাকা লুট করে৷ টাকার পরিমাণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি ৷ তবে রুমা শাখায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ছিল বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷
কেএনএফের সদস্যরা নগদ টাকা ছাড়াও দুটি এসএমজি (লাইট মেশিন গান) ও ৬০টি গুলি, ৮টি চীনা রাইফেল ও ৩২০টি গুলি, ৪টি শটগান ও ৩৫টি কার্তুজ লুট করে  নিয়ে গেছে৷

ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে ১০ জন পুলিশ সদস্য থাকলেও তাদের সবাইকে পাশের ব্যারাকে ঢুকিয়ে আটক করে ডাকাতি করা হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে৷ এদিকে ওই ব্যাংকে আট জন আনসার সদস্যও দায়িত্বে ছিলেন৷ তাদের মধ্যে চারজন আহত হয়েছেন৷ ডাকাতির সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না এবং তারা উপজেলা পরিষদের সামনে বান্দরবান-রুমা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে দেয়৷

ডাকাতি করে যাওয়ার সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ এখন পর্যন্ত ম্যানেজারকে উদ্ধার করা যায়নি৷
রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মার্মা বলেন, "ডাকাতির কিছুক্ষণ আগে পুরো এলাকার বিদ্যুৎ চলে যায়৷ ডাকাত দল এক ঘন্টার মতো ছিল৷ তারা চলে যাওয়ার পাঁচ মিনিট পর আবার বিদ্যুৎ চলে আসে৷ তারা ব্যাংক এবং পাশের সড়ক ও আশপাশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়৷ সড়কে তারা তল্লাশী করে৷  মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়৷ ওই দলে শতাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি ছিল৷ তারা কুকি-চীনের কেএনএফ লেখা পোশাক পরা ছিল৷ মুখ ছিল কালো রং এবং মুখোশে ঢাকা৷ তারা ডাকতির আগেই ব্যাপক গুলি ছোঁড়ে৷”

তিনি বলেন, "ব্যাংকের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার সবই ছিল৷ তবে আগেই তাদের নিরস্ত্র করে ফেলে ডাকাতরা৷”

পুলিশ যা বলছে

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "দুই থানায় ব্যাংকের তিনটি শাখায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে৷ তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি৷ সেনা,  বিজিবি ও পুলিশ মিলে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে৷”

ব্যাংকের নিরাপত্তার প্রশ্নে তিনি বলেন, "রুমায় ডাকাতির সময় বিদ্যুৎ ছিল না৷ ফলে পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের নিরস্ত্র করে ফেলে৷ আর থানচিতে পুলিশ প্রতিরোধ করেছে৷ আমাদের একজন পুলিশ সদস্য কয়েক রাউন্ড গুলিও ছুঁড়েছে৷ তাদের প্রতিরোধের কারণেই ডাকাতরা ব্যাংকের ভল্ট ভাঙতে পারেনি৷ তারা বাইরে যে টাকা ছিল তা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়৷” আর পুলিশের আইজি বলেন, "তারা ব্যাংক লুট করেছে৷ আনসার, পুলিশের অস্ত্র নিয়েছে এবং সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে নিয়ে গেছে৷ আমরা দেখছি৷ অস্ত্রগুলো কোথায় আছে খুঁজে দেখবো৷ এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷”

কুকি-চীন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা আবার বেড়ে যাচ্ছে: থোয়াই হ্লা মং মার্মা

শক্তির জানান দিচ্ছে কেএনএফ?

কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানকেন্দ্রিক আঞ্চলিক নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন৷ কেএনএফ পার্বত্য তিন জেলার প্রায় অর্ধেক আয়তনের অঞ্চল, তথা লামা, রুমা, আলীকদম, থানচি, রোয়াংছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকলসহ আশপাশের এলাকায় তৎপর রয়েছে গত চার-পাঁচ বছর ধরে৷ কেএনএফ প্রধান হলেন নাথান বম৷ গত তিন বছরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়৷ অভিযানের সময় তাদের শতাধিক সদস্য গ্রেপ্তার হয়৷ অস্ত্র উদ্ধার হয়৷ পুলিশ ও র‌্যাব তখন জানায়, কেএনএফ দুর্গম পাহাড়ে বাংলাদেশের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে অর্থ আয় করে৷ তারা কথিত ‘কুকিল্যাণ্ড' প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷ তাদের কথিত একটি ম্যাপও আছে ওই কুকিল্যান্ডের৷

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মার্মা বলেন, "আমরা কুকি-চীনের তৎপরতার মধ্যেই আছি৷ তারা নানা সময়ে অপহরণ ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত৷ গত বছর তারা একজন ইউপি চেয়াম্যানকে অপহরণ করেছিল৷ তারা দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে৷”

আর থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মার্মা বলেন, "কুকি-চীন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা আবার বেড়ে যাচ্ছে৷ তারা নানা স্থানে হামলা চালাচ্ছে৷ অপহরণ করছে৷ আমরা আসলে নিরাপত্তাহীনতায় আছি৷ তারা অপরাধ করে পাহাড়ে চলে যায়৷'‘

"আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি৷  আমাদের লোকালয়ের কিছু লোক তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে৷ তথ্য সরবরাহ করে৷ রুমার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়েছে৷ তারা আসলো, বিদ্যুৎ চলে গেল৷ তারা গেল, বিদ্যুৎ চলে এলো৷ এটা আমার কাছে রহস্যময় মনে হয়.” বলেন এই জনপ্রতিনিধি৷

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, " আগের অভিযানগুলোর মাধ্যমে কুকি-চীন গ্রুপটিকে দমন করা যায়নি৷ তাদের সঙ্গে সমঝোতা করা হয়েছিল৷ বলা হয়েছিল তারা আর সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাবে না৷ কিন্তু এখানে আমাদের পক্ষ থেকে থ্রেট অ্যাসেসমেন্টে ভুল করা হয়েছে৷ ওই সমঝোতার ভিত্তিতে আমাদের নিরাপত্তা শিথিল করা ঠিক হয়নি৷”

তার কথা, "এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটির অংশ মিয়ানমার ও ভারতেও আছে৷ সেখানেও তারা সক্রিয়৷ তাই তাদেরকে হালকাভাবে নেয়া ঠিক হয়নি৷ তাদের সঙ্গে জঙ্গিদেরও সম্পর্ক আছে৷ আর এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান নাথান বম এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে৷”

আর মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান বলেন, "তারা কোনোভাবেই দুর্বল হয়নি৷ তারা আরো শক্তি সঞ্চয় করে এখন তার জানান দিচ্ছে৷ সীমান্তের ওপারে তাদের যে তৎপরতা, তার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে৷”

তার মতে, "দেশের বাইরে থেকে তারা অস্ত্র পাচ্ছে৷ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকেও তারা অস্ত্র পায়৷ জঙ্গিদের চেয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে৷”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "কুকি-চীন যে গ্রুপটি আগেও বান্দরবানে একটি জায়গায় অবস্থান করে জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে একটা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল৷ আমাদের র‌্যাব ও আর্মি সেই ঘাঁটি সরিয়ে দিয়েছে৷ ইদানিং কুকি-চীন আবার বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে৷ এ বিষয়ে আমাদের যা যা করার, আমরা করবো৷ এখানে যারা জড়িত বা করেছে আমরা সবগুলোর ব্যবস্থা নেবো৷”