1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় প্রশ্নের মুখে বিদ্রোহীদের ঐক্য

৩০ জুলাই ২০১১

লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের সামরিক কমান্ডার আবদেল ফাতাহ ইউনেস হত্যাকাণ্ড অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷ ফলে শঙ্কিত হয়ে উঠেছে পশ্চিমা শক্তিও৷ তারা বিদ্রোহীদের মাঝে ঐক্য গড়ে তোলার কথা বলছেন৷

https://p.dw.com/p/126iG
ইউনেস হত্যা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেছবি: dapd

বিদ্রোহীদের মন্ত্রী আলি তারহুনি বলছেন ‘ওবাইয়দা ইবনে জারাহ ব্রিগেড' নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা ইউনেসকে হত্যা করেছে৷ ঐ সংগঠনের শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের কথাও জানিয়েছেন তিনি৷

তারহুনি বলছেন, আটক নেতা স্বীকার করেছেন যে, তার দলের লোকজনই ইউনেসকে হত্যা করেছে৷ তবে হত্যাকারীদের এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি৷

উল্লেখ্য, ইউনেস এক সময় গাদ্দাফির খুব কাছের লোক ছিলেন৷ ১৯৬৯ সালে যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাদ্দাফি ক্ষমতায় বসেন সেই অভ্যুত্থানেও গাদ্দাফির সঙ্গে ছিলেন ইউনেস৷ পরে গাদ্দাফি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন৷ বিদ্রোহ শুরু হলে এ বছরের শুরুর দিকে তিনি গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন৷

কিন্তু বিদ্রোহীদের একটা অংশ ইউনেসের নেতৃত্বে কাজ করার পক্ষে ছিল না৷ কারণ তারা মনে করতো গাদ্দাফির কাছ থেকে সরে আসলেও গোপনে তিনি বা তাঁর পরিবার ঠিকই গাদ্দাফির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন৷

এছাড়া মন্ত্রী থাকাকালে তিনি যাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন তারাও ইউনেসের বিরুদ্ধে ছিল৷ এগুলোই ইউনেসকে হত্যার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে৷

তবে এই হত্যাকাণ্ডের কারণে বিদ্রোহীদের মধ্যে যে একতা নেই এমন একটা ধারণা ফুটে উঠেছে৷ গাদ্দাফির সরকারও এই সুযোগে বলছে যে, বিদ্রোহীরা যে দেশ চালাতে যোগ্য নয়, এটা তারই একটা প্রমাণ৷ আর গাদ্দাফির মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম বলছেন, বিদ্রোহের পেছনে আল কায়েদার হাত রয়েছে এটাও তার একটা প্রমাণ৷ তিনি বলেন, অনেক বিদ্রোহী নেতাও জানেন যে, আল কায়েদা ধীরে ধীরে পূর্ব লিবিয়ায় তাদের শক্তি বিস্তার করছে৷ কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলছে না৷

এদিকে, বিদ্রোহীদের সংগঠন ‘ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল'কে যেসব দেশ ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়েছে তারাও ইউনেস হত্যার ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে৷ এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ঐক্যের ডাক দিয়েছে৷ উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০টি দেশ বিদ্রোহীদের সরকারকে লিবিয়ার একমাত্র অনুমোদিত সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান