1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোবাইল গেম নিয়ে কলেজছাত্র খুন

১৮ এপ্রিল ২০২২

ঢাকার কদমতলীতে মোবাইল গেম নিয়ে বিরোধের কারণে কলেজছাত্র রাকিবুল ইসলাম খুন হন৷ এই খুনের দায় স্বীকার করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন, রাসেল দুই ভাই৷

https://p.dw.com/p/4A3cQ
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa/Imaginechina/Zhu Min

দৈনিক প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম৷

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন ১৯ বছর বয়সি রাকিবুল ইসলাম৷ চার দিন আগে ১৪ এপ্রিল কদমতলীর মিনাবাগ এলাকার ময়লার ভাগাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ রাকিবুলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা আবদুল আলী বাদী হয়ে কদমতলী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন৷

রাকিবুল মা-বাবার সঙ্গে কদমতলীর পাটেরবাগ এলাকায় থাকতেন৷ ঘটনার দিন বেলা তিনটার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হন৷ রাকিবুল ইফতারের সময়ও বাসায় না ফেরায় তার স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং এ সময় তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়৷

রাকিবুল নিখোঁজের খবর পুলিশকে জানায় পরিবার৷ রাত দুইটার দিকে কদমতলীর মিনাবাগের ময়লার ভাগাড় থেকে রাকিবুলের লাশ উদ্ধার হয়৷ পুলিশ রাকিবুলের মুঠোফোনের কল ডিটেইলস রেকর্ড (সিডিআর) সংগ্রহ করে৷ সিডিআরের তথ্যে, রাকিবুলের সঙ্গে কদমতলীর রবীনের মুঠোফোনে কথা বলার তথ্য পায় পুলিশ৷

এরই মধ্যে ২৪ বছর বয়সি রবীন চলে গেছেন শরীয়তপুরে ৷ পরে রবীনের ছোট ভাই ২০ বছর বয়সি রাসেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করায় একপর্যায়ে রাসেল পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, তার ভাই রবীন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন৷

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার এসআই আজহারুল প্রথম আলোকে বলেন, রাসেল যখন পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন, তখন তার ভাই রবীন শরীয়তপুরে৷ পরে অভিযান চালিয়ে রবীনকে গ্রেপ্তার করে কদমতলী থানায় আনা হয়৷ দুই ভাইকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করায় রবীন ও রাসেল এ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং কারণসহ হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেন৷

রবীন ও রাসেলের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর৷ থাকেন ঢাকার কদমতলী এলাকায়৷ রবীন ডিশ লাইনের কাজ করেন৷ গতকাল দুপুরে রবীন ও রাসেল ঢাকার সিএমএম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পরে তাদের দুই ভাইকে পাঠানো হয় কারাগারে ৷

ঢাকার সিএমএম আদালত ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদালতে দুই ভাইয়ের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী, রাকিবুল ও রবীন পূর্বপরিচিত৷ তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল৷ দুজনেই মুঠোফোনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলতেন৷ একপর্যায়ে রবীন ফ্রি ফায়ার গেম খেলার পাসওয়ার্ডটি বিক্রি করতে রাকিবুলকে অনুরোধ করেন৷ কিন্তু রাকিবুল তা না করে নিজেই ওই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে কয়েক দিন ধরে গেম খেলছিলেন৷এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়৷  

১৪ এপ্রিল রবীন কৌশলে রাকিবুলকে নিজের বাসায় ডেকে নেন, তখন বাসায় অন্য কেউ ছিল না৷ ফ্রি ফায়ার গেম বিষয়ে প্রথমে রাকিবুল ও রবীনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়৷ পরে ডিশ লাইনের কাজে ব্যবহৃত তার দিয়ে রাকিবুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রবীন৷

ইফতারের আগমুহূর্তে রাকিবুলকে খুন করা হয়৷ হত্যার পর তার লাশ বাসার ওয়ার্ডরোবে ভরে রাখেন রবীন৷ গভীর রাতে রাসেলের সহযোগিতায় রাকিবুলের লাশ কাপড়ের আলমারি থেকে বের করে মিনাবাগের ময়লার ভাগাড়ে ফেলে আসেন রবীন৷

রাকিবুলের বাবা আবদুল আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে ওরা খুন করেছে৷ এখন আমরা শুনছি, মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে রবীন এই খুন করেছে৷'

আবদুল আলী তার ছেলের হত্যাকারী রবীন ও রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান৷

এনএস/কেএম (প্রথম আলো)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য