1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহারাষ্ট্র সরকারে সংকট, বিজেপি-র কাছে ১৭ বিধায়ক

২১ জুন ২০২২

মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট সরকার সংকটে। শিবসেনার মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহ।

https://p.dw.com/p/4CyWK
দলের বিধায়কদের বিদ্রোহে বিপাকে পড়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
দলের বিধায়কদের বিদ্রোহে বিপাকে পড়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। ছবি: Getty Images/AFP

শিবসেনার ১১ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে একনাথ শিন্ডে এখন গুজরাটে। তারা সুরাতের হোটেলে আছেন। সূত্রের দাবি, শুধু শিন্ডেরাই নয়, আরো পাঁচজন নির্দল বিধায়ক এখন বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তবে বিজেপি সূত্র দাবি করেছেন, মোট ২৪জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে আছে। ফলে উদ্ধব ঠাকরের সরকার কতদিন চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে।

একদিন আগেই মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদের নির্বাচন ছিল। সেখানে বিজেপি অন্য দলের থেকে ভোট জোগাড় করে তাদের বাড়তি একজন প্রার্থীকে জিতিয়ে এনেছে। কিছুদিন আগেই রাজ্যসভা নির্বাচনে একই রকমভাবে ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়কদের ভোট জোগাড় করে বিজেপি একজন প্রার্থীকে জেতাতে পেরেছিল। বিধান পরিষদে কংগ্রেস তাদের তালিকায় এক নম্বরে থাকা প্রার্থীকেও জেতাতে পারেনি। কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক। ২৬ জনের ভোট পেলেই দলের প্রার্থী বিধান পরিষদে যেতে পারতেন। কিন্তু ২৬টি ভোটও পাননি কংগ্রেস প্রার্থী চন্দ্রকান্ত খান্ডোর। কংগ্রেস শুধু একটি আসনে জিতেছে। কংগ্রেস ছাড়াও জোটের বাকি শরিক দলের বিধায়করাও তাকে ভোট দেননি। একইরকমভাবে শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়করা দল ও জোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। 

এর থেকেই মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়। একনাথ শিন্ডে ও তার সহযোগীদের সঙ্গে শিবসেনা নেতারা সমানে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ হয়নি। কংগ্রেস তাদের বিধায়কদের দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই তাদের দিল্লি আসার কথা।

শরদ পাওয়ার কি জোটকে বাঁচাতে পারবেন?
শরদ পাওয়ার কি জোটকে বাঁচাতে পারবেন?ছবি: AFP/Getty Images

এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারও দিল্লিতে আছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী ঠিক করার জন্য বৈঠক ডেকেছেন। তার বাড়িতেই বৈঠক হচ্ছে। আগে ঠিক ছিল, বৈঠক বেলা আড়াইটে নাগাদ শুরু হবে। এখন তা এগিয়ে আনা হয়েছে। সাড়ে দশটা থেকেই বৈঠক শুরু হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি-র প্রার্থী ঘোষণার আগেই মহারাষ্ট্রে তাদের ধাক্কা দিয়েছে বিজেপি।  এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ার কী করবেন, তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।

শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, যে সব বিধায়ক গুজরাটে গেছেন, তারা আবার দলে ফিরবেন। কারণ, তারা শিবসেনার সৈনিক। অনেকে ফিরে আসতে চাইছেন। কিন্তু তাদের জোর করে ধরে রাখা হয়েছে। তার দাবি, এই ধরনের ঘটনা একমাত্র গুজরাটেই হতে পারে। তবে শিবসেনা নেতাদের বক্তব্য, তারাও বিষয়টি সহজে ছেড়ে দেবেন না। সরকার টিকে থাকবে। 

বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, খেলা এখন কার্যত তাদের হাতে চলে এসেছে। আর মহারাষ্ট্রের এক বড় নেতাও তাদের সাহায্য করছেন বলে সূত্রের দাবি। প্রশ্ন হলো, বিজেপি-র পরিকল্পনা কী? তারা কি এখনই সরকার ফেলে নিজেদের সরকার বানাতে চায়, নাকি সরকার ফেলে দিয়ে নির্বাচনের দিকে যেতে চায়? সূত্রের বক্তব্য, আগে সরকারকে ফেলাই হলো বিজেপি-র প্রাথমিক কাজ। এই জোট সরকার পড়ে যাওয়া মানে বিরোধীদের কাছে বড় ধাক্কা। সবচেয়ে বড় কথা, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরের শক্তি কমে যাওয়া। নিজের দলকে ধরে রাখতে না পারলে রাজনৈতিকভাবে বিশাল ধাক্কা খাবেন তিনি। সেই ধাক্কা পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে প্রতিফলিত হবে। সূত্রের বক্তব্য, বিজেপি নতুন সরকার গড়বে, নাকি আবার ভোটে যাবে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে গুজরাটের সঙ্গে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। 

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)