1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

Bangladeshis wait in long lines amid tight security

সমীর কুমার দে/সাগর সরওয়ার২৯ ডিসেম্বর ২০০৮

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে৷ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সকাল থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে৷ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যেই চলছে ভোট গ্রহণ৷ সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে তরুণ ভোটারদের উপস্থিতিও লক্ষ্যণীয়৷

https://p.dw.com/p/GOSE
ভোটকেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইনছবি: Mustafiz Mamun

রাজধানীর অনেক কেন্দ্রে লাইন এতটাই লম্বা যে দুই ঘন্টারও বেশি সময় লাগবে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে৷ কেন্দ্রগুলো ঘিরে শত শত উৎসুক মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন, যেন ঈদ ঈদ ভাব৷

Wahlkampagne in Bangladesch
ধানের শীষ হাতে বিএনপি সমর্থকরাছবি: Mustafiz Mamun

সকাল ৯টায় তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ায় হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ২ হাজার ২৬৩ জন ভোটারের মধ্যে ১২৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন৷ লাইনে দাঁড়িয়ে আরো কয়েকশ' নারী-পুরুষ৷ এই কেন্দ্রের ভোট দিতে এসেছেন বয়োবৃদ্ধ আবদুল জব্বার৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, 'ঝামেলা এড়াতে তিনি সকাল ৭টায় কেন্দ্রে এসেছেন৷ তারপরও তার ভোট দিতে সময় লেগেছে ৫০ মিনিট৷ কারণ তার আগেই অনেকে কেন্দ্রে চলে এসেছেন৷

নাখালপাড়ার এই কেন্দ্রে প্রথম ভোট দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী নুশরাত শারমিন৷ জীবনে প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বেশ 'এক্সাইটেড' তিনি৷ বললেন, পছন্দের প্রার্থীকে তিনি ভোট দিয়েছেন৷ তিনি যাকে ভোট দিয়েছেন সেই প্রার্থীই পাশ করবে বলে আশা করেন নুশরাত৷ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে কোন ক্লান্তি নেই তার৷ নুশরাতের অভিমত, 'আজ যেন ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে৷ মা, বাবা ও ভাইকে নিয়ে একসঙ্গে ভোট দিতে পেরে খুশি তিনি৷'

সকাল সাড়ে নয়টায় গুলশান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে কথা হয় ভোটার সাইফুন রহমান এর সঙ্গে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে আইনী কড়াকড়ির দিকগুলো বেশ ভালো লেগেছে৷ আগের মতো কেন্দ্রের বাইরে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের তেমন একটা দেখিনি৷ তাই ভোট দিতে পেরেছি কোন ঝামেলা ছাড়াই৷

Bangladesch Wahlen 2008
নৌকা প্রতীক হাতে আওয়ামী লীগের সমর্থকরাছবি: Mustafiz Mamun

এই ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে বয়ষ্ক এক ভোটার জানিয়েছেন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ভোটার লিস্টে ছবি দেখে ভালো লেগেছে৷ ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও সহযোগিতা করেছেন৷ এই সিস্টেম যেন ভবিষ্যতেও বজায় থাকে৷

মিরপুরের হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, লম্বা লাইন৷ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রকে ঘিরে সতর্ক পাহাড়া বসিয়েছে৷ এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, ভোটার লিস্টে তার নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ প্রার্থীরা যে ভোটার স্লিপ দিয়েছে সেই নম্বরে কেন্দ্রে তার নাম নেই৷ জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে কোন প্রতিকার পাননি তিনি৷

রুবেল জানান, এভাবে যদি ভোটারদের হয়রানির মুখে পড়তে হয় তাহলে অনেকেই ভোট না দিয়ে ফিরে যাবেন৷ ওই কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার জানান, ভোট দেওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের কোন প্রয়োজন নেই৷ তিনি বলেন, এই ভোটারের নাম হয়ত কেটে পার্শ্ববর্তী কোন কেন্দ্রে চলে গেছে৷

বগুড়া থেকে আমাদের প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান বিলু জানাচ্ছেন, গাইবান্ধা জেলার পলাশাবাড়ী উপজেলার তালুকজামিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে ব্যালট পেপারসহ অন্যের বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়া থাকার অভিযোগ রয়েছে৷

বগুড়ার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সকাল ৮টার আগেই অনেক ভোটার কেন্দ্র চলে আসেন৷ বগুড়া শহরের প্রি ক্যাডেট স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে পুরাতন ভোটারদের সাথে নতুন ভোটারও কেন্দ্র লাইন ধরে আছেন ভোট দেবার জন্য৷ বিশৃংখলার কারনে অনেকেই এ কেন্দ্র ভোট দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন৷

মোছা: আমেনা সাত্তার নামক এক ভোটার অভিযোগ করেন, বোর্ডে তাদের সিরিয়াল ঠিক না থাকায় হয়রানী হতে হয়েছে ভোট দেবার জন্য৷ এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো: গোলম হোসেন বাংলাদেশ সময সকাল সোয়া ৮টায় জানান, ৮টি বুথে যে ৮০০ ব্যালট পেপার দেয়া হয়েছে তার শতকরা ৭ শতাংশ ১৫ মিনিটেই পড়েছে৷

খুলনা থেকে সাংবাদিক রকিব উদ্দিন পান্নু জানান, বেলা ১০ টা পর্যন্ত খুলনা বিভাগের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার খবর স্থানীয় প্রশানের কাছে আসেনি এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহনের কাজ চলছে৷

বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাগুলো৷

এবার ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না বলে প্রকাশ৷ পুলিশ, আনসার, বিডিপির সদস্যরা বিভিন্ন কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন৷ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীরও সহায়তা নেয়া হচ্ছে৷ তবে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভোটারদের মধ্যে কোন আতংক তৈরি করছে না বলে জানিয়েছে আমাদের প্রতিনিধিরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য