1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে আটক বিমান ২৭৬ যাত্রী নিয়ে মুম্বই পৌঁছাল

২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ফ্রান্সের বিমানবন্দরে ভারতীয়দের নিয়ে আটক বিমান মঙ্গলবার ভোররাতে মুম্বই পৌঁছাল। বিমানে ছিলেন ২৭৬ যাত্রী।

https://p.dw.com/p/4aZlr
প্যারিসের কাছে বিমানবন্দরে আটকে রাখা বিমানটি। এতে ৩০৩ জন যাত্রী ছিলেন। তারা নিকরাগুয়া হয়ে বেআইনিভাবে অ্যামেরিকা যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।
দুবাই থেকে আসা এই বিমানটিকেই ফ্রান্সে আটক করা হয়। মঙ্গলবার তা মুম্বই পৌঁছায়। ছবি: Christophe Ena/AP Photo/picture alliance

তবে ২৭ জন যাত্রী বিমানের সঙ্গে আসেননি। এর মধ্যে পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক-সহ ২৫ জন ফ্রান্সে আশ্রয়ের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। দুইজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী, আশ্রয় চাইলে তাদের আবেদনের ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ফেরত পাঠানো যায় না। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা জানানো হয়নি।

বিমানটি ভোর চারটের সময় মুম্বই পৌঁছেছে।

এই চার্টার বিমানটি দুবাই থেকে নিকারাগুয়া যাচ্ছিল। জ্বালানি ভরার জন্য তা ফ্রান্সের বিমানবন্দরে নেমেছিল। তখন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফ্রান্সের কর্মকর্তাদের জানায়, এই বিমানে মানবপাচার করা হচ্ছে। তখন বিমানটিকে আটক করা হয়। যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।

এই ঘটনার চারদিন পর বিমানটি মুম্বই এসে পৌঁছাল।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নিকারাগুয়া থেকে যাত্রীরা অ্যামেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করতেন। মার্কিন কাস্টমস ও বর্ডার পেট্রোলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয়দের বেআইনিভাবে অ্যামেরিকায় ঢোকার চেষ্টা অনেকটাই বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে ৯৬ হাজার ৯১৭ জন ভারতীয় এইভাবে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। যে সংখ্য়া আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশেরও বেশি। ৪১ হাজারের মতো ভারতীয় মেক্সিকোর সীমান্ত পার হয়ে অ্যামেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করেছেন।

এই ক্ষেত্রে অভিবাসীরা একটা নির্দিষ্ট কৌশল নেয়। তারা 'ডাঙ্কি' ফ্লাইটে তৃতীয় কোনো দেশে এসে পৌঁছায়। যে দেশে ট্রাভেল ডকুমেন্টের কড়াকড়ি কম। সেখান থেকে তারা অ্যামেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করে।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ওই বিমানের সঙ্গে ক্রাইম সিন্ডিকেটের যোগ থাকতে পারে, যে অপরাধী গোষ্ঠী অ্যামেরিকায় মানুষ পাচার করে।

বিচারকের সিদ্ধান্ত

ফ্রান্সের আদালতের এক বিচারক এই বিমানের যাত্রীদের আটক না রেখে ভারতে পাঠাতে বলেন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিচারক জনমতের চাপ উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ফলে যাত্রীরা মুক্তি পেয়েছেন।

ফরাসি কর্তৃপক্ষ এখনো এই ঘটনার তদন্ত করছে। তবে তারা আর মানবপাচারের বিষয়টি দেখছে না। তারা ফ্রান্সের অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)