1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অভিযানে ১১ জন নিহত

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, পশ্চিম তীরের নাবলুসে তারা বুধবার ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে৷ এতে ১৬ বছরের এক শিশুসহ ১১ জন নিহত ও ৮০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷

https://p.dw.com/p/4NsEo
Westjordanland | Razzia Israelischer Streitkräfte in Nablus
ছবি: Zain Jaafar/AFP/Getty Images

এর জবাবে ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা বৃহস্পতিবার ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলে ছয়টি রকেট নিক্ষেপ করে৷ ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ রকেট হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ এর আগে নাবলুসে ‘বড় অপরাধের' জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল তারা৷

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা গাজা থেকে ছোঁড়া ছয়টি রকেটের মধ্যে পাঁচটি ধরতে সমর্থ হয়েছে৷ বাকি রকেটটি একটি নির্জন জায়গায় পড়েছে৷

রকেট হামলার দুই ঘণ্টা পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার কয়েকটি স্থান লক্ষ্য করে আকাশ থেকে হামলা চালায়৷ হামাস পরিচালিত একটি ‘অস্ত্র তৈরির কারখানা' ও ‘সামরিক শিবির' হামলার লক্ষ্য ছিল বলে পরে এক বিবৃতিতে জানায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী৷

এদিকে, জেরুসালেম, পশ্চিম তীর ও গাজার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীরা বৃহস্পতিবার সাধারণ অবরোধ ডেকেছে৷ সে কারণে গাজায় স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক বন্ধ আছে৷

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, বুধবারের অভিযানে তারা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ‘লুকিয়ে থাকা অ্যাপার্টমেন্ট' টার্গেট করেছিলেন৷ ঐ জঙ্গিরা একটি হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে জানায় তারা৷ এই সময় ইসরায়েলি বাহিনীর দিকে পাথর, বিস্ফোরক ও মলটভ ককটেল ছোঁড়া হলেও তাদের কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী৷

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বুধবার মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়স ১৬ থেকে ৭২ বছরের মধ্যে৷

২০০৫ সালে দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার পর এটিই পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা৷

ইসলামিক জিহাদ বলছে, হামলায় তাদের একজন কম্যান্ডার নিহত হয়েছেন৷

দ্য লায়ন্স ডেন নামে নাবলুসের স্থানীয় এক জঙ্গি গোষ্ঠী বলছে, নিহত ছয়জন বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন৷

ইসরায়েলের কয়েকটি শহরে ফিলিস্তিনিদের কয়েকবার হামলার পর গত একবছরে পশ্চিম তীরের নাবলুস ও পার্শ্ববর্তী জেনিনে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল৷

চলতি মাসে পূর্ব জেরুসালেমের এক বাসস্টপে এক ফিলিস্তিনি তার গাড়ি তুলে দিলে তিনজন মারা যান৷ গতমাসে একটি সিনাগগের বাইরে গুলিতে প্রাণ হারান সাতজন৷

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে পশ্চিম তীরে উত্তেজনা অনেক বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ ‘‘আমাদের প্রথম কাজ হবে, উত্তেজনা যেন আর না বাড়ে সেই উদ্যোগ নেয়া,'' বলেন গুতেরেস৷

এদিকে, মিশর ও জাতিসংঘের উদ্যোগে মধ্যস্থতার চেষ্টা চলছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘সংঘাতের মাত্রা দেখে ওয়াশিংটন খুব উদ্বিগ্ন'৷

ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, পশ্চিম তীরে সংঘাত বাড়ার ঘটনায় ইইউ গভীরভাবে শঙ্কিত৷

সাধারণ নাগরিকদের উপর সংঘাতের নিন্দা জানিয়ে ফ্রান্স ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা ও আনুপাতিক হারে শক্তি প্রয়োগের বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে৷

পরিসংখ্যান

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন৷ এদের মধ্যে শিশু ও জঙ্গিও রয়েছেন৷

এই সময়ে তিন শিশুসহ ইসরায়েলের নয়জন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও ইউক্রেনের একজন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে৷

১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলের দখলে আছে পশ্চিম তীর৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)