1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্রযুক্তিইসরায়েল

মাধ্যাকর্ষণ বোমা বহনে সক্ষম ইসরায়েলের ড্রোন

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বোমা ফেলার সময় কোনো শব্দ বা ধোঁয়া নির্গত হয় না৷ মাধ্যাকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে মুক্তভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই বোমা৷

https://p.dw.com/p/4N7aU
Israel | Elbit Systems Ltd. Hermes 900 Drone
ইসারায়েলের এলবিট সিস্টেম লিমিটেড কোম্পানির ড্রোন হেরমেস ৯০০৷ ছবি: Orel Cohen/REUTERS

ফলে ড্রোনের মাধ্যমে বহন করতে পারা এই বোমা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগে থেকে চিহ্নিত করাও সম্ভব হয় না৷

আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকলকে (ইউএভি) সাধারণভাবে ড্রোন বলে উল্লেখ করা হয়৷ মানববিহীন এই উড়োযানের সবশেষ ইসরায়েলি মডেলটি প্রায় এক টন পর্যন্ত বোমা বহনে সক্ষম বলে জানা গেছে৷

দুই দশক চরম গোপনীয়তার মধ্যে পরীক্ষানীরিক্ষার পর গত জুলাইয়ে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো এই ড্রোনের তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করে৷

নভেম্বরে ইসরায়েলের এক জেনারেল এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানান৷ তিনি জানান যে, এই ড্রোন পরিচালনায় বিমানবাহিনীর সঙ্গে গোলন্দাজ বাহিনীও কাজ করে৷ পার্শ্ববর্তী ফিলিস্তিন অঞ্চলের পাশাপাশি দূরের ইরান, এমনকি আফ্রিকার সুদান পর্যন্ত বোমা বহন করে নিয়ে যেতে সক্ষম এই ড্রোন৷

যেভাবে ড্রোনে করে শুক্রাণু পাঠানো হয় খামারিদের

এই ড্রোন দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং বোমা ফেলা ছাড়াও নজরদারির জন্য আকাশ থেকে নিচের ভিডিও গ্রহণ করে প্রেরণ করতেও সক্ষম এই ড্রোন৷

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশটির সশস্ত্র ড্রোন বহরে যাত্রীবাহী বিমানের আকারের হিরন টিপি নামে এক ধরনের ড্রোন রয়েছে৷ এই ড্রোনের মালিক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ইসরায়েল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর৷ এছাড়া এলবিট সিস্টেমস লিমিটেডের অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের হারমিসও রয়েছে এই বহরে৷

এই কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, হিরন টিপি ইসরায়েল সেনাবাহিনীর কাছে থাকা সবচেয়ে ভারি ড্রোন এবং প্রায় এক টনের কাছাকাছি গোলাবারুদ বহনে সক্ষম৷

রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট এর তথ্যমতে, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় ড্রোন বহর পরিচালনাকারী দেশে পরিণত হয়েছে ইসরায়েল৷

রয়টার্সকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ড্রোনগুলো সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে৷ ফলে এর তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশের প্রয়োজন পড়বে না৷

এই ড্রোনে বহনকারী বোমা, ‘মাধ্যাকর্ষণের টানে নীচে পড়বে এবং এর গতি শব্দের বেগ পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা রাখে’৷

অ্যামেরিকার ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা হেলফায়ার মিসাইল ব্যবস্থার মতো এই বোমা থেকে শব্দ বা জ্বালানির ধোঁয়া নির্গত হয় না৷ এর ফলে এর শব্দ বা ধোঁয়া দেখে আগে থেকে কেউ ড্রোন আক্রমণ সম্পর্কে ধারণা করে উঠতে পারবে না৷

এডিকে/আরআর (রয়টার্স)