1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে জার্মানি

২০ এপ্রিল ২০২০

প্রায় এক মাস ধরে করোনা সংকটের কারণে কড়াকড়ির পর সংক্রমণের হার কমার ফলে জার্মানিতে কিছু বিধিনিয়ম শিথিল করা হচ্ছে৷ তবে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলেছেন, এই সাফল্য অত্যন্ত ভঙ্গুর৷

https://p.dw.com/p/3b9lw
এক দোকানের সামনে টাঙানো এই নোটিশে আজ থেকে খোলা থাকার কথা বলা হয়েছেছবি: Imago Images/Lichtgut

করোনা সংকট আপাতত মোটামুটি সামলে নিয়ে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করে তোলার উদ্যোগ শুরু করছে জার্মানি৷ সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মানুষের মধ্যে ব্যবধান বজায় রেখেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ সংক্রমণের হার ধারাবাহিকভাবে কমে চলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে রাজনীতি জগত মনে করছে৷ তাই সোমবার থেকে সতর্কতা বজায় রেখে নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে৷ এই সিদ্ধান্তের প্রভাব খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ অর্থনীতির অচলাবস্থা কাটাতে এই পদক্ষেপ সফল হলেও সংক্রমণের হার মারাত্মক বেড়ে গেলে সরকারকে পিছিয়ে আসতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷

প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার দেশজুড়ে ৮০০ বর্গ মিটার আয়তনের চেয়ে ছোট দোকানপাট খোলা হচ্ছে৷ তবে গাড়ি, সাইকেল ও বইয়ের দোকানের ক্ষেত্রে আয়তন সংক্রান্ত কোনো শর্ত আরোপ করা হচ্ছে না৷ তবে এই সব দোকানে প্রবেশ করতে হলে কিছু কড়া নিয়ম মেনে চলতে হবে৷

ফেডারেল সরকার গোটা দেশের জন্য কিছু সাধারণ সিদ্ধান্ত নিলেও রাজ্য স্তরে পদক্ষেপের মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকছে৷ যেমন, কিছু রাজ্যে চিড়িয়াখানাও খোলা হচ্ছে৷ শুধু স্যাক্সনি রাজ্যে উপাসনার উপর নিষেধাজ্ঞা অন্য রাজ্যের তুলনায় আগেই তুলে নেওয়া হচ্ছে৷ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির স্বার্থে কয়েকটি রাজ্যে নির্দিষ্ট কিছু ক্লাসে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে৷ বাকি রাজ্যগুলিতে মে মাসে এমন কিছু ক্লাস খোলা হবে৷ এখনো কিন্ডারগার্টেন খোলার সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও দেশজুড়ে বিতর্কের পর সোমবার থেকে বিশেষজ্ঞদের এক দল এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করবে৷ ধাপে ধাপে কিন্ডারগার্টেন খোলার পরিকল্পনার ঝুঁকি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷

জার্মানির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পেটার আল্টমায়ার করোনা সংকটের মাঝে রাজ্যগুলির মধ্যে আরো ঐক্যের ডাক দিয়েছেন৷ এক জনপ্রিয় সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, একদল মুরগিছানার মতো কড়াকড়ি আরো বাড়াতে অথবা শিথিল করতে পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামা ঠিক নয়৷ তার মতে, এই মুহূর্তে সংযত থাকলে দ্বিতীয় দফার লকডাউন এড়ানো সম্ভব হবে৷ সে কারণে ফেডারেল ও রাজ্য সরকারের যৌথ পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি৷

প্রকাশ্যে মাস্ক পরার প্রশ্নে জার্মানিতে এখনো কোনো ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে না৷ শুধু স্যাক্সনি রাজ্যে সোমবার থেকে দোকানবাজার ও ট্রামে-বাসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে৷ ভলফসবুর্গ ও ইয়েনা শহরেও একই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে৷ তবে জার্মানির ফেডারেল সরকার এখনো পর্যন্ত দেশজুড়ে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি৷ শুধু প্রকাশ্যে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷

জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিজে বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও কোনো উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেন না৷ তাঁর মতে, এই সাফল্য অত্যন্ত নাজুক৷ নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট বলেন, একেবারে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে আরো অনেক সময় লাগবে৷ এমনকি কিছু কড়াকড়ি ২০২১ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)