1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লির বিবিসি অফিসে আয়কর তল্লাশি

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

দিল্লিতে বিবিসি-র দক্ষিণ এশিয়া অফিসে আয়কর দপ্তরের তল্লাশি অভিযান। কিছুদিন আগেই বিবিসি নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল। যা নিয়ে চরম বিতর্ক হয়।

https://p.dw.com/p/4NRvl
বিবিসি-র দিল্লি দপ্তরে আয়কর তল্লাশি
ছবি: Christoph Meyer/dpa/picture allliance

ভারতে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বিবিসি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বিবিসি-র দিল্লি দপ্তরে পৌঁছায় আয়কর দপ্তরের অফিসাররা। তাদের সঙ্গে সেখানে দিল্লি পুলিশও পৌঁছায়। গোটা দপ্তর ভিতর থেকে সিল করে দেয়া হয়েছে। বিবিসি-র সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ভিতরে বেশ কিছু কর্মীর ফোন এবং কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ডয়চে ভেলে আয়কর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। বস্তুত, বিবিসি-র দপ্তরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, নাকি কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এনডিটিভি-র সাংবাদিক জানিয়েছেন, আয়কর দপ্তরের সূত্র তাকে জানিয়েছে,কাগজপত্র খতিয়ে দেখার জন্যই বিবিসি-র দপ্তরে যাওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে এদিন বিবিসি-র দপ্তর সিল করে, সাংবাদিকদের ভিতরে বসিয়ে রেখে আয়কর দপ্তর তল্লাশি চালাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। বিবিসি-র সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, তাদের মুম্বই অফিসেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক আয়করে গরমিলের জন্যই বিবিসি-র দপ্তরে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকেরা পৌঁছেছেন। কিন্তু সরকারিভাবে এবিষয়ে এখনো কোনো তথ্য মেলেনি।

কংগ্রেসের তরফ থেকে জয়রাম রমেশ বলেছেন, এই আয়কর তল্লাশি বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভারতে এখন অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রও টুইট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার প্রশ্ন, আদানির অফিসে কেন আয়কর অফিসারেরা পৌঁছাতে পারেন না?

সম্প্রতি বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছিল বিবিসি। বিবিসি টু চ্যানেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। যদিও সেই চ্যানেল ভারতে দেখা যায় না। তথ্যচিত্রটি নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। ভারত সরকার জানায়, ছবিটি উদ্দেশ্যমূলক প্রচার। মোদীকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই ওই তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে বলে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। ছবিটিকে ভারতে নিষিদ্ধও করা হয়।

তবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছবিটি দেখানো হয়েছে। বামপন্থি ছাত্র সংগঠন এসএফআই বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছবিটি দেখিয়েছে।

 

এসজি/জিএইচ (এনডিটিভি)