তদন্তের মুখে বিবিসির চেয়ারম্যান
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩বিবিসির প্রধান রিচার্ড শার্প এবার তদন্তের মুখে। অভিযোগ, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে প্রায় ৮০ হাজার পাউন্ড ঋণ নিতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। বস্তুত, বরিস সেই ঋণ পাওয়ার পরেই দ্রুত বিবিসির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন শার্প। তিনি যে বরিসকে ঋণ পেতে সাহায্য করেছেন, সে কথা বিবিসির বোর্ডকে জানাননি তিনি। আর সেখানেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বিবিসি যখন কোনো চেয়ারম্যান নিয়োগ করে, তখন তার মনোয়ন আসে সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু একটি বোর্ডের কাছে ওই ব্যক্তিকে সমস্ত তথ্য জানাতে হয়। সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাতে হয়। শার্প যখন চেয়ারম্যান হন, তখন তিনি ঋণের বিষয়টি সম্পূর্ণ আড়ালে রেখেছিলেন। আর সেটিই তার দোষ বলে মনে করা হচ্ছে। যে কারণে, বিরোধীরা দাবি তুলেছে, যত দ্রুত সম্ভব শার্পকে পদত্যাগ করতে হবে। শার্প অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে সেইভাবে যুক্ত ছিলেন না। তবে নিজের সহকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখেছেন শার্প। বলেছেন, এই অভিযোগ বিবিসির ভাবমূর্তিতে আঘাত করেছে। সে কারণে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তদন্ত কমিটির সামনেও তিনি ক্ষমা চেয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে বিরোধী লেবার পার্টির দাবি, দ্রুত পদত্যাগ করুন শার্প। এভাবেই বিবিসির মতো সংস্থায় সরকার হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বরিস জনসন অবশ্য এখনো এবিষয়ে মুখ খোলেননি। তার সময়কালে একের পর এক কেলেংকারিতে জড়িয়েছেন বরিস। যে কারণে তাকে পদত্যাগও করতে হয়েছে। এবার নতুন কেলেংকারির ঘটনা সামনে এলো।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)