1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাজ্য

দলের আস্থাভোটে জিতলেন বরিস জনসন

৭ জুন ২০২২

নিজের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি-র সমর্থন পেলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পার্টিগেট সত্ত্বেও দলের আস্থাভোটে জনসন জিতলেন।

https://p.dw.com/p/4CLUp
দলীয় আস্থাভোটে জিতলেন জনসন।
দলীয় আস্থাভোটে জিতলেন জনসন। ছবি: Matt Dunham/AP Photo/picture alliance

আপাতত স্বস্তি। দলের আস্থাভোটে জিততে খুব বেশি অসুবিধার মুখে পড়তে হলো না যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। তার কনজারভেটিভ পার্টির ৫৪ জন এমপি দাবি করেছিলেন, পার্টিগেটের দায় নিয়ে জনসন ইস্তফা দিন। তাই দলে আস্থাভোট নিতে হয় জনসনকে। তার পক্ষে পড়ে ২১১টি ভোট এবং বিপক্ষে ১৪৮টি। দুই ঘণ্টা ধরে ভোটপর্ব চলে। তারপর ফলাফল প্রকাশিত হয়। আস্থাভোটে জিতে যাওয়ায় বরিস জনসনকে আর এক বছরের মধ্যে দলের ভিতরে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে না।

পার্টিগেট নিয়ে চাপে ছিলেন জনসন। কিন্তু তারপরেও দেখা গেল, দলের ৫৯ শতাংশ এমপি-র সমর্থন পেয়েছেন তিনি। জনসন জানিয়েছেন, ''এই ভোটের ফল হলো নির্ণায়ক। আমরা এখন প্রশাসনে মনোনিবেশ করতে পারব। মানুষের জন্য যে কাজ করা দরকার, সেই সব কাজ করতে পারব।''

ফলাফলের প্রতিক্রিয়া

অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক বলেছেন, ''প্রধানমন্ত্রী আস্থাভোট জিতেছেন। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়। কাল থেকেই আমরা কাজে লেগে পড়ব। আর্থিক বৃদ্ধি ও জনসেবার কাজে লেগে পড়ব।''

তবে বিরোধী লেবার পার্টির বক্তব্য, এই ভোট ক্ষমতাসীন দলের বিভাজনকেই সামনে আনল। এর ফলে দলের মধ্যে বিরোধ আরো বাড়বে।

কীভাবে ভোট হলো

এই ভোট দিয়েছেন শুধু জনসনের কনজারভেটিভ পার্টির এমপি-রা। পার্লামেন্টের সব সদস্য নয়। তার দলের ১৫ শতাংশ এমপি জনসনের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। ফলে জনসনকে আস্থাভোট নিতে হয়েছে। নিয়মানুসারে দলের ১৮১জন এমপি জনসনের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তাকে পদত্যাগ করতে হতো। এই আস্থাভোটে জেতার ফলে জনসনকে তার দলে এক বছরের মধ্যে আর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে না।

তবে দলের আস্থাভোট এবং পার্লামেন্টের আস্থাভোট এক বিষয় নয়। হাউস অফ কমন্সে এরপরেও জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যেতে পারে। তবে সেটা আনতে হবে বিরোধীদের। ক্ষমতাসীন দলের কাছে য়খন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে, তখন বিরোধীরা সচরাচর অনাস্থা প্রস্তাব আনে না।

পার্টিগেট নিয়ে চাপ

তবে পার্টিগেট নিয়ে জনসনের উপর চাপ থাকছেই। তিনিই প্রথম প্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকার সময় আইন ভাঙার দায়ে জরিমানা দিয়েছেন। করোনাকালে নিয়ম ভেঙে পার্টি করার অভিযোগ যখন সামনে আসে, তখন তিনি প্রথমে বলেছিলেন, পার্টি করেননি। পরে বলেন, তিনি ওই জমায়েতকে পার্টি বলে মনে করেননি। শেষপর্যন্ত তিনি পার্লামেন্টে ক্ষমা চান। তবে তিনি বলেছেন, তিনি পার্লামেন্টে মিথ্যা কথা বলেননি।

আস্থাভোটের আগে জনসন দলের এমপি-দের বলেছিলেন, তিনি ব্রেক্সিট কার্যকর করেছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং এখন ইউক্রেনকে সমর্থন করছেন।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এপি, এএফপি)