1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাজ্য

জরিমানা দিয়ে পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন বরিস জনসন

২০ এপ্রিল ২০২২

করোনাকালে লকডাউনের বিধি ভেঙে পার্টি করার জন্য পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

https://p.dw.com/p/4A7nm
পার্টিগেটের জন্য পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন জনসন।
পার্টিগেটের জন্য পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন জনসন। ছবি: PRU/AFP

জনসনই আধুনিক সময়ে প্রথম ব্রিটিশ নেতা, আইন ভাঙার জন্য যাকে ৫০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হয়েছে। পুলিশ এই জরিমানা ধার্য করার পর মঙ্গলবার প্রথমবার পার্লামেন্টের মুখোমুখি হয়েছিলেন জনসন। তার চ্যান্সেলার অফ এক্সচেকারেরও জরিমানা হয়েছে। দুই জনেরই পদত্যাগের দাবি তুলেছেন বিরোধী নেতারা।

জনসনের নিজের দলের কিছু নেতাও দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু জনসন সেই দাবি আমল দেননি।  হাউস অফ কমন্সে ১১ দিন ইস্টারের ছুটি ছিল। পার্লামেন্ট আবার শুরু হওয়ার পরই জনসন ক্ষমা চাইলেন।

তবে জনসনের বিরুদ্ধে লকডাউনের সময় পার্টি করা নিয়ে আরো অভিযোগ আছে এবং তার তদন্ত চলছে। তাছাড়া তিনি পার্লামেন্টকে বিপথচালিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ, জনসন পার্লামেন্টে দাবি করেছিলেন, তিনি কোনো আইন ভাঙেননি। এই বিষয়টি নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। এই আচরণবিধি ভাঙার ঘটনা প্রমাণিত হলে মন্ত্রীরা সাধারণত পদত্যাগ করেন।

জনসন কী বলেছেন?

জনসন বলেছেন, ''আমি আবার ক্ষমা চেয়ে নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানুষ আরো বেশি প্রত্যাশা করতেই পারেন।'' জনসন বলেছেন, ''কোভিড মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনার আগে ক্যাবিনেট রুমের জমায়েতের ফলে যে করোনাবিধি ভঙ্গ হচ্ছে, তা তিনি বুঝতে পারেননি। আমি আবার বলছি, এটা আমার ভুল। আমি তার জন্য ক্ষমা চাইছি।''

জনসনের অস্বস্তির কারণ

এর আগে জনসন পার্টিগেট কেলেঙ্কারির ঝড় সামলেছেন। কিন্তু তার অস্বস্তি এখনো যায়নি।

হাউস অফ কমন্সে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু তার দলের নেতারাই প্রশ্ন তুলেছেন, মানুষ যখন করোনার কারণে ঘরবন্দি হয়ে বসে আছে, তখন প্রধানমন্ত্রী পার্টি করছেন, এটা মেনে নেয়া যায় না।

জনসন ইতিমধ্যেই ৫০ পাউন্ড জরিমানা দিয়েছেন। কিন্তু লন্ডন পুলিশের তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তারা জনসনের বিরুদ্ধে লকডাউনের সময় পার্টি করার আরো অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি)