1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ানের সমুদ্রে চীনের মহড়া শেষ

১১ আগস্ট ২০২২

মহড়া শেষ হলেও চীন ওই অঞ্চলে পেট্রোলিং বা নজরদারি জারি রাখবে বলে জানিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য।

https://p.dw.com/p/4FOrO

মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়েছিল তাইওয়ানে। রাতারাতি এযাবৎ বৃহত্তম সেনা মহড়ার আয়োজন করেছিল চীন। কার্যত তাইওয়ানের নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে ওই মহড়া করে তাইওয়ান এবং মার্কিন প্রশাসনকে বার্তা দিতে চেয়েছিল চীন। বুধবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে চীনের পিপলস আর্মি জানিয়েছে আপাতত মহড়া শেষ করা হচ্ছে। কিন্তু তাইওয়ান প্রণালীতে পেট্রোলিং চলবে। চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তাইওয়ানের দাবি, আনুষ্ঠানিকভাবে মহড়া শেষ হলেও বুধবারেও চীনের যুদ্ধজাহাজ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। মেডিয়ান লাইনের উপর দিয়ে বুধবার চীনের ১৭টি যুদ্ধবিমান ঘোরাফেরা করেছে। চীন এবং তাইওয়ানের মাঝে মেডিয়ান লাইন হলো একটি বাফার অঞ্চল। দুই দেশই ওই জায়গা পর্যন্ত পেট্রোলিং চালায়।

পিপলস আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান প্রণালীতে চীন লাগাতার পেট্রোলিং চালিয়ে যাবে। শুধু তা-ই নয়, চালানো হবে নজরদারিও। বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।

চীনেরপ্রশাসন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পূর্ণ সংযুক্তিই তাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু বলপ্রয়োগ করে চীন সে কাজ করতে চায় না। আলোচনার মাধ্যমে তারা দ্রুত এই কাজ করে ফেলবে। যদিও তাইওয়ান কোনোভাবেই চীনের এই প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত নয়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারাও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে তাদের সেনা বসিয়ে রেখেছে।

উত্তেজনার কারণ

চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান। চীন ওই সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। পেলোসি তা উপেক্ষা করেই তাইওয়ান যান। তারপরেই চীন তাইওয়ানের ১৯ কিলোমিটারের মধ্যে যুদ্ধ মহড়া শুরু করে। গত ২৫ বছরের মধ্যে পেলোসির মাপের কোনো মার্কিন রাজনীতিক তাইওয়ান যাননি। তাইওয়ান অবশ্য একে সৌজন্য সফর বলেই ব্যাখ্যা করেছে।

যুক্তরাজ্যের তলব

এরই মধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে যুক্তরাজ্য। তাইওয়ান নিয়ে চীনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের জন্যই তাকে ডাকা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বেজিংয়ের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)