1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিআইবি চোখ থাকিতে অন্ধ : ওবায়দুল কাদের

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করার পরেও টিআইবি এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক না বলায় কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন "টিআইবি উদ্ভট উদ্ভট কথা বলছে।”

https://p.dw.com/p/4aDYq
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
‘টিআইবি চোখ থাকিতে অন্ধ,’ বলেছেন ওবায়দুল কাদেরছবি: DW

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, "বিএনপির ভাবাদর্শ, মতাদর্শের প্রবক্তা হয়ে তারা (টিআইবি) চোখ থাকিতেও অন্ধ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।”

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই বলে মনে করছে টিআইবি।

বিএনপি ও জামাআত ইসলামী সহ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করার সিধান্ত নেয়ায় দেশে এবং দেশের বাইরে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ঘিরে নানা শঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

শুধু বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না- এমন ধারণার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, "টিআইবির বাংলাদেশ শাখার কাছে জানতে চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কী বোঝায়? টিআইবি কি বিএনপির শাখা সূত্র? একই সুরে কথা বলছে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের ‘ভাগাভাগির নির্বাচন' মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, "কিসের ভাগাভাগি? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কোনো মুল্যে এই নির্বাচনকে আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে একটা রেকর্ড আমরা রাখতে চাই।”

শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, জোটের শরিকদের জন্য সাতটি আসনের বেশি ছাড় দেওয়া আওয়ামী লীগের জন্য সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের শরিক দল বলতে জাতীয় পার্টি তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে, ১৪ দলে কিছু আসনে নৌকা মার্কা আমরা দেবো। সাতটা নির্বাচনী এলাকায় নৌকা আমরা স্যাক্রিফাইস করতে পারব, গতকালই আমরা জানিয়ে দিয়েছি।''

জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাতটির বেশি আসন ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেছেন৷ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘শুনেন, আরও অনেক শরিক দল আছে। তাদেরকে তো বোঝাতে হবে। কিন্তু যা হওয়ার হয়েছে। এর বাইরে আমাদের পক্ষে সম্ভব না।''

স্বতন্ত্র প্রার্থী তুলে নিতে শরিকদের দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘নির্বাচন তো হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, আমরা আমাদের দলীয় প্রার্থী যেখানে আছে, সেখানে স্বতন্ত্রের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে ইলেকশন করবে না, স্বতন্ত্র যদি জিতে জিতবে, আমরা জোর করে কারো বিজয় ছিনিয়ে আনব না।''

শরিকরা নিশ্চিত বিজয়ের গ্যারান্টি চায় কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারবো না। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমারও জেতার গ্যারান্টি নেই। আমার সঙ্গে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। এখন কেউ যদি জিতে যায়, তাহলে তো আমাকেও হার মানতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা যেটা আছে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি।''

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। এই অ্যালায়েন্সে আসনের ব্যাপারটা গৌণ, মুখ্য হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যাপারটা।''

এসএইচ / এফএস ( দ্য ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য