1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছাত্র হত্যাকাণ্ড

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৪ জানুয়ারি ২০১৩

দেড় বছর আগে ঢাকার অদূরে সাভারের আমিন বাজারে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৬০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ তবে তাদের অধিকাংশই হয় জামিনে আছে নয় পলাতক৷

https://p.dw.com/p/17JFI
Smoke emits from chimney as a Bangladeshi worker puts coal at the fire place of a brick field at Amin Bazar, outskirts of Dhaka, Bangladesh, Thursday, May 14, 2009. The World Bank approved on Wednesday a US$62.2 million credit to help Bangladesh to control urban air pollution through cutting emissions in key polluting sectors such as transport and brick-making according to news reports. (ddp images/AP Photo/Pavel Rahman)
প্রতীকী ছবিছবি: Pavel Rahman/AP/dapd

সে রাতের ঘটনায় বেঁচে থাকা একমাত্র ছাত্র আল আমিন এবং তারা পরিবারের সদস্যরা ডয়চে ভেলের কাছে অভিযোগ করেছেন, মূল হোতারা এখনো অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে৷

২০১১ সালের ১৮ই জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিন বাজারের বড়দেশি গ্রামে পিটিয়ে হত্যা করা ছয় স্কুল ছাত্রকে৷ মাদক ব্যবসায়ীরা ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার পর তারা তাদের ডাকাত বলে প্রচার চালায়৷ এতে তাদের সহযোগিতা করে পুলিশ৷ আহত অবস্থায় বেঁচে থাকা একমাত্র ছাত্র আল আমিনকে আসামি করে তখন ডাকাতির মামলাও দায়ের করা হয়৷ কিন্তু ব়্যাবের তদন্তে প্রমাণ হয়েছে ডাকাতির মামলা মিথ্যা৷ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আব্দুল মালেক নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে দিয়ে ওই মামলা দায়ের করা হয়৷ ব়্যাবের তদন্ত রিপোর্টে আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং মালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপনকারী আইনজীবী আরোয়ারুল কবির বাবুল৷

ওই ঘটনার পর একটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়৷ ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মোট ৬০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷

কিন্তু এই ৬০ জনের মধ্য কারাগারে আটক আছে মাত্র ১০ জন৷৩৬ জন পলাতক এবং ১৪ জন জামিনে আছে৷

এদিকে, বেঁচে থাকা একমাত্র ছাত্র আল আমিন এবং তার বাবা-মা ডয়চে ভেলেকে জানান মূল হোতারা এখনো গ্রেফতার হয়নি৷ তারা এখনো হুমকি দিচ্ছে৷ আর পুলিশ ছিল মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী৷ কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এখনো নেয়া হয়নি৷

এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে সাভার থানা পুলিশ এবং পরে সিআইডি তদন্ত করে৷ কিন্তু তারা অপরাধীদের আড়াল করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন৷ শেষ পর্যন্ত ব়্যাবের তদন্তে অপরাধীরা চিহ্নিত হল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য