ঘড়ির কাঁটার নড়চড় বন্ধ
২৬ মার্চ ২০১৯তবে আরো এক বছর এ ‘ঝামেলা' পোহাতে হবে ইউরোপবাসীর৷ কারণ, ২০২১ নাগাদ তা কার্যকর হবে৷ তবে কোনো ইউরোপীয় দেশ যদি চায়, তাহলে বছরে দু'বার করে ঘড়ির সময় বদলাতে পারে৷ অথবা কেউ চাইলে গ্রীষ্মের সময়টিকেই চিরস্থায়ী করে রাখতে পারে, অথবা কেউ চাইলে শীতের৷
তবে ইইউ'র ২৮টি দেশের সবাইকেই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যে৷ তখন ব্লকটির নির্বাহী বিষয়গুলোর সময়কাল নির্ধারিত করা হবে যেন তা ইইউ'র সিঙ্গেল মার্কেটের কার্যকারিতায় বাধা হয়ে না দাঁড়ায়৷
গত বছর ইউরোপীয় কমিশন ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন বন্ধের বিষয়টি প্রস্তাব করে৷ মূলত ইউরোপজুড়ে অধিবাসীদের ওপর করা এক জরিপে মানুষের মতামতের উপর ভিত্তি করেই এই প্রস্তাব করা হয়৷ তবে আগামী মে মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে এই বিষয়ে এখনই ভোটের সমালোচনাও করছেন অনেকে৷
এছাড়া সমালোচনা আছে, জার্মানির নাগরিকদের চাওয়া অন্য দেশগুলোর ওপর চাপিয়ে দেয়ারও৷ কারণ, গত বছরের জরিপে অংশ নেয়া ৪৬ লাখ মানুষের মধ্যে ৩০ লাখ ছিল জার্মানির৷ এদিকে, রাশিয়া ২০১১ সালে তাদের কেই চিরস্থায়ী হিসেবে বেছে নিয়েছিল৷ তবে তিন বছর পর তারা শীতকালীন সময়ে চিরস্থায়ীভাবে ফিরে যায়৷ ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন ব্যবস্থা চালু হয়েছিল মূলত দিনের আলো বেশি কাজে লাগানোর মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা কমানোর জন্য৷ কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একে ‘খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি' বলে অনেকে সমালোচনা করেছেন৷
জেডএ/জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স)