1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘড়ির কাঁটায় আর পরিবর্তন চায় না ইইউ

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো বছরে দুই বার ঘড়ির কাঁটায় পরিবর্তন আনে৷ তবে আগামী বছরের অক্টোবর থেকে ‘ডেলাইট সেভিংস' বা দিনের আলো সংরক্ষণের এই ব্যবস্থা আর রাখতে চায় না ইইউ৷

https://p.dw.com/p/34yq5
Symbolbild Zeitumstellung, Jean-Claude Juncker, EU
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Mayo

বিশ্বযুদ্ধ ও গত শতকের সত্তরের দশকে তেল সংকটের সময় জ্বালানি সংরক্ষণ করতে বছরে একবার ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে এনে, পরে আবার তা পিছিয়ে দেয়া হতো৷ ইইউর দেশগুলোতে ১৯৯৬ সালে আইন করে সেই ব্যবস্থা চালু করা হয়৷ সেই থেকে প্রতিবছর মার্চের শেষ রবিবার ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে দেয়া হয়, আর অক্টোবরের শেষ রবিবারে তা আবারও পিছিয়ে আনা হয়৷

এই ব্যবস্থা সম্পর্কে নাগরিকদের মতামত জানতে ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি একটি অনলাইন জরিপের আয়োজন করেছিল৷ এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় ৪৬ লক্ষ নাগরিক অংশ নেন৷ প্রায় ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা ঘড়ির কাঁটায় পরিবর্তন আনার পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে ভোট দেন৷ উল্লেখ্য, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৩০ লক্ষই ছিলেন জার্মান নাগরিক৷

জরিপের এই ফলাফল দেখে কমিশন ডেলাইট সেভিংস ব্যবস্থা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে৷ যদিও সমালোচকরা বলছেন, ইইউর মোট জনসংখ্যার একটি সামান্য অংশ জরিপে অংশ নিয়েছিলেন৷

ইইউর পরিবহণ বিষয়ক কমিশনার ভিওলেটা বুলস শুক্রবার জানান, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ঘড়ির কাঁটায় পরিবর্তন আনার ব্যবস্থা বন্ধ করা হবে৷

তবে এই সিদ্ধান্ত মানা হবে কিনা, তা প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র ঠিক করবে৷ এজন্য বিষয়টি যার যার সংসদে পাস হয়ে আসতে হবে৷ আগামী এপ্রিলের মধ্যে সব দেশকে এ ব্যাপারে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে৷

আশঙ্কা

সব সদস্যরাষ্ট্র ইইউ'র এই সিদ্ধান্ত না-ও মানতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন৷ সেক্ষেত্রে একেক দেশে একেক সময়ব্যবস্থা চালু হতে পারে৷ ইইউ কমিশনার বুলস আশা করছেন, তাদের এই সিদ্ধান্ত সব দেশ মেনে নেবে৷

যাঁরা ডেলাইট সেভিংস বাতিলের পক্ষে, তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, এখন স্মার্ট শহর, স্মার্ট ভবন, স্মার্ট সলিউশনসের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চলে এসেছে৷ ফলে এখন নানাভাবে জ্বালানি সংরক্ষণের বিষয়টি চালু আছে৷ তাই ঘড়ির কাঁটায় পরিবর্তন এনে জ্বালানি সংরক্ষণের উপায় এখন সেকেলে হয়ে গেছে৷ তাছাড়া এই পদ্ধতির কারণে অনেকে স্বাস্থ্যগত ও ঘুম সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েন বলে তাঁদের অভিযোগ৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার এই পদ্ধতি বাতিলের ভাবনাকে সমর্থন জানিয়েছেন৷

জেডএইচ/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)