কোলন জিম্মি কাণ্ডের ‘ক্লু' খুঁজছে জার্মান পুলিশ
১৬ অক্টোবর ২০১৮সোমবারের ঘটনার সূত্র ধরে মঙ্গলবার কোলনের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ৷ মূল হামলাকারী পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে, তবে গ্রেপ্তারের সময় তিনি গুরুতর আহত হন৷ সোমবার এক নারীকে জিম্মি করেছিলেন তিনি৷ এ বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা পুলিশকে জানানোর জন্য একটি ওয়েব ঠিকানাও প্রকাশ করা হয়েছে৷
যা ঘটেছিল:
- সোমবার দুপুরে এক ব্যক্তিকোলনের কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনে অবস্থিত ম্যাকডোনাল্ডস রেস্টুরেন্টে একটি মলটভ ককটেল নিক্ষেপ করেন৷ এতে তিনজন আহত হন, আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর৷ এক প্রত্যক্ষদর্শী ডয়চে ভেলেকে জানান, বিস্ফোরণের পর পায়ে আগুন ধরা অবস্থায় এক নারীকে দৌঁড়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায়৷
সেই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই কাছের এক ফার্মেসিতে এক নারীকে জিম্মি করেন সেই হামলাকারী৷ পুলিশ দ্রুতই সাড়া দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও জিম্মিকারীর সঙ্গে সমঝোতা করতে বিশেষ একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠায়৷আটক ব্যক্তি এক তিউনিশীয় নারীর মুক্তি দাবি করে বলে শোনা গেছে৷
জিম্মিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পুলিশ ফার্মেসিতে অভিযান চালায়৷ তার কাছে একটি পিস্তল ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ পুলিশের অভিযানের সময় গুলিতে গুরুতর আহত হন জিম্মিকারী৷ তবে জিম্মি করা নারী নিরাপদেই ঘটনাস্থল থেকে বের হতে সক্ষম হন৷
ঘটনার পর কোথাও কোনো বিস্ফোরক আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য পুরো ট্রেন স্টেশন অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ৷ সেসময় তারা ৫৫ বছর বয়সি এক সিরীয় নাগরিকের পরিচয়পত্র খুঁজে পান, যার ২০২১ সাল অবধি জার্মানিতে বসবাসের অনুমতি রয়েছে৷
সন্দেহভাজন কি বাঁচবেন?
পুলিশের অভিযান চলাকালে গুরুতর আহত হলেও তার বেঁচে থাকার ব্যাপারে আশাবাদী চিকিৎসকরা৷ মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছেন৷
সন্দেহভাজন কি একজন সন্ত্রাসী?
জার্মান কর্তৃপক্ষ এখন অবধি হামলাকারীর হামলার উদ্দেশ্য শনাক্ত করতে পারেনি৷ কোলনের উপ-পুলিশ প্রধান মিরিয়াম ব্রাউনস বলেন, ‘‘তদন্তে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি আমরা বাদ দিচ্ছি না৷''
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, হামলাকারী নিজেকে ‘ইসলামিক স্টেটের' সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেছেন৷ তবে পুলিশ এই দাবি এখনো যাচাইয়ে সক্ষম হয়নি বলে জানিয়েছে৷
এখন তাহলে কী হবে?
পুলিশ বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে৷ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও ঘটনার কারণ এবং হামলাকারী সম্পর্কে আরো জানতে ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন৷
এআই/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)