1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল-লেবানন বন্দী বিনিময় শুরু

রিয়াজুল ইসলাম১৬ জুলাই ২০০৮

ইসরায়েল ও লেবাননের উগ্রপন্থী গোষ্ঠী হিজবোল্লাহর মধ্যে বহুল আলোচিত বন্দী বিনিময় শুরু হয়েছে৷ প্রথমে ইসরায়েলের দু সেনার মৃতদেহ হস্তান্তর করে হিজবোল্লাহ৷

https://p.dw.com/p/Edjx
ট্রাক থেকে কালো রংয়ের কফিন নামতে দেখে সকলেই বুঝে নেন অপহৃত সৈন্যের ভাগ্যে কি ঘটেছেছবি: AP

এরপর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হিজবুল্লাহর আট সৈন্য ও চার ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃতদেহ ফেরত দেয়া হয়৷ এছাড়া হিজবোল্লাহর গেরিলা নেতা সামির কানতার সহ আরও পাঁচজনকে জীবিত ফেরত দেবে ইসরায়েল৷ এদিকে বন্দী বিনিময়ের এ ঘটনাকে হিজবোল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিজয় বলে দাবি করা হচ্ছে৷

২০০৬ সালের ১২ই জুলাই এহুদ গোল্ডওয়াসের ও এলদাদ রেগেভকে অপহরণ করেছিলো লেবাননের হিজবোল্লাহ গোষ্ঠী৷ এই অপহরণের জবাবে ইসরায়েল লেবানন সীমান্তে হামলা চালায়৷ ইসরায়েল ও হিজবোল্লাহর মধ্যে এ মাসব্যাপী যুদ্ধে নিহত হয় প্রায় ১২শ লেবাননী নারী পুরুষ ও ১৫৯ ইসরায়েলী সৈন্য৷ কিন্তু অপহৃত দু সৈন্যকে উদ্ধার করতে পারেনি ইসরায়েল৷ বিষয়টি দেশটির জন্য একটি ইস্যু হয়ে দাড়ালে জাতিসংঘ এর মধ্যস্থতার দায়িত্ব দেয় জার্মানির ওপর৷

Israel Soldat Eldad Regev und Ehud Goldwasser
এই দুই অপহৃত সৈনিকের মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে হিজবোল্লাহছবি: AP

জার্মানির বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা গ্যারহার্ড কনরাডের নেতৃত্বে একটি দল দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও হিজবোল্লাহর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যায়৷ শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে সক্ষম হন গ্যারহার্ড কনরাড৷ অপহৃত দু সৈন্যকে ফেরত দিতে রাজি হয় হিজবোল্লাহ৷ তবে তাদেরকে জীবিত নাকি মৃত ফেরত দেয়া হবে তা বলতে রাজী হয়নি তারা৷ অপরদিকে হিজবোল্লাহর সাবেক নেতা সামির কানতার সহ পাঁচজন আটক উগ্রপন্থীকে জীবিত ফেরত দিতে রাজি হয় ইসরায়েল৷ এর বাইরে আরও ১৯৯ জন নিহত গেরিলাকে ফেরত দেয়ার শর্ত মেনে নেয় ইসরায়েল৷

দু পক্ষের এ চুক্তি অনুযায়ী বুধবার সকালে হিজবোল্লাহ গোষ্ঠী প্রথমে বন্দী ফেরত দেয়৷ হিজবোল্লাহর ট্রাক থেকে দুটি কালো রংয়ের কফিন নামতে দেখে সকলেই বুঝে নেন যে অপহৃত দু ইসরায়েলী সৈন্যের ভাগ্যে কি ঘটেছে৷ কফিন পাওয়ার পরপরই ইসরায়েলী কর্মকর্তারা দুই সৈন্যের মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করেন৷ পরীক্ষা শেষে তারা নিহত দুই সৈন্যকে সনাক্ত করেন৷ এরপরই ইসরায়েল আটজন হিজবোল্লাহ সৈন্যের মৃতদেহ ফেরত দেয়৷ এছাড়া আরও চারজন ফিলিস্তিনী গেরিলার মৃতদেহ হিজবোল্লাহ গোষ্ঠীর কাছে হস্তান্তর করা হয় যাদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন৷ এদিকে বন্দী বিনিময়ের এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷

বন্দী বিনিময়ের ঘটনাটিকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির জন্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর৷ তিনি এ এ ঘটনাকে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী বিজয় বলে যে দাবী করেছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, হিজবোল্লাহ কোন রাষ্ট্র নয় এবং হিজবোল্লাহকে কোন প্রতিপক্ষ বলে ইসরায়েল মনে করতো না৷ কিন্তু গতবারের যুদ্ধের পর হিজবোল্লাহ একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে৷ এরপর তাদের সঙ্গে ইসরায়েলের এ আলোচনা ও বন্দী বিনিময়ের পর তারা যে বিজয়ের দাবী করছে তার কিছুটা যথার্থতা রয়েছে৷

বন্দী বিনিময়ের এ ঘটনাটি জার্মানির ইতিবাচক ভাবমুর্তি তৈরী করবে বলেও মনে করেন জললুল আহমেদ চৌধুরী৷ এ সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ইরাক যুদ্ধের সময় ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে জার্মানির ভুমিকা অনেকটাই স্বতন্ত্র ছিলো৷ যে কোন সংকট নিরসনে কোন দেশ মধ্যস্থতা করতে গেলে সেটি ইতিবাচক ভাবমুর্তি তৈরী করে৷ বন্দী বিনিময়ের ক্ষেত্রে জার্মানির ভুমিকাকে স্বাগত জানাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য