1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুধবার বন্দি বিনিময় শুরু করবে লেবানন আর ইসরায়েল

সাগর সরওয়ার১৪ জুলাই ২০০৮

বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বলা হচ্ছিলো ইসরায়েল এবং লেবানন বন্দি বিনিময় করবে৷ আর এই বিষয়টি বেশ এগিয়েই যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এহুদ ওলমার্টের সরকারে থাকা না থাকা নিয়ে এ বিষয়ে একটু সন্দেহ ছিল বৈকি৷

https://p.dw.com/p/EcUE
লেবাননে এই দৃশ্য বেশ পরিচিতছবি: AP

কিন্তু সে সন্দেহ উড়িযে দিয়ে ওলমার্ট সোমবার অনাস্থা ভোটে ওলমার্ট জয়ী হয়ে গেলেন৷ যদিও তার বিরুদ্ধে এখন নানা ধরনের দুনীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷ কিন্তু তা সত্বেও তার অবস্থান যে শক্ত হয়ে গেলো তা আবারো প্রমাণিত হলো৷ ৪৭ ভোটের মধ্যে তিনি ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হলেন৷ আর এই জয়ী হওয়াটা লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের যে চুক্তি করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে বাঁধা থাকলো না বলেই মনে করা হচ্ছে৷

অবশ্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এহুদ বারাক সোমবার বলেছেন, ২০০৬ সালে শেষ হওয়া লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধের পর জাতিসংঘ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল তা ছিল একটি ব্যর্থতা৷ তিনি বলেন, দ্বিতীয় বারের মত লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধের পর গ্রহণকরা নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নং প্রস্তাব কাজ করেনি, কাজ করছে না এরং কাজ করবে না৷

২০০৬ সালে এই যুদ্ধের ব্যপ্তি ছিল মাত্র ৩৪ দিন৷ সে বছরের আগষ্ট মাসে ঘটেছিল এই ঘটনা৷ হিজবোল্লাহ গেরিলাদের সঙ্গে এই যুদ্ধে দুই পক্ষের বেশ ক্ষতি হয়েছিল৷ যুদ্ধে নিহতদের দেহ হস্তান্তর এবং সে সময়ে বন্দি সৈনিকদের ফেরত দেয়ার জন্য বেশ কিছু দিন আগে চুক্তি করে ইসরায়েল এবং হিজবোল্লাহ৷ আগামী বুধবার এই চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হবে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে৷ ইসরায়েল ফিরিয়ে দেবে ৫ লেবাননীকে আর এদের মধ্যে এমন একজন আছেন যিনি ইসরায়েলে ৩০ বছর ধরে বন্দি থাকা একজন, তাকেও৷ যাকে ইসরায়েলে তিনটি হত্যা কান্ডের জন্য দায়ী করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, হিজবোল্লাহ ফেরত দেবে দুই ইসরাইলী সেনাকে৷ মনে করা হয়েছিল তারা প্রাণ হারিয়েছেন৷

ইসরায়েল প্রায় ২০০ হিজবোল্লাহ যোদ্ধার মৃতদেহও তুলে দেবে লেবাননের কাছে৷ ইসরায়েলী সেনা সদস্যরা এ দেহবশেষ মাটি চাপা দিয়ে ছিল৷ মাটি সরিয়ে দেহগুলো তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ জাতিসংঘের নিযুক্ত জার্মান দূত কোনার্ড বন্দি বিনিময়ের এই বিষয়টিতে মধ্যস্থতা করছেন৷ লেবানন তাদের বীর সেনানীদের বরণ করতে অনুস্ঠানের আয়োজন করেছে৷ এই বন্দি বিনিময়ের পুরো বিষয়টি তদারকি করা হবে রেডক্রসের মাধ্যমে৷