1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

ইউক্রেনে একদিনে ১১৮ জায়গায় হামলা রাশিয়ার

২ নভেম্বর ২০২৩

চলতি বছরে ইউক্রেনের উপর সবচেয়ে বড় আক্রমণ রাশিয়ার। ড্রোন ও কামান দিয়ে ১১৮টি গ্রাম ও শহরে আক্রমণ করেছে রাশিয়া।

https://p.dw.com/p/4YIkH
ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান দিয়ে আক্রমণ রাশিয়ার।
ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান দিয়ে আক্রমণ রাশিয়ার। ছবি: Stanislav Krasilnikov/SNA/IMAGO

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ক্লিমেনকো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, ''গত ২৪ ঘণ্টায় ১০টি অঞ্চলে ১১৮টি জনবসতিতে আক্রমণ করা হয়েছে। এই বছরের শুরু থেকে একদিনে এত বেশি জায়গায় আগে কখনো আক্রমণ করা হয়নি।''

উত্তরপশ্চিম খারকিভে সারারাত ধরে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন মারা গেছেন। রাশিয়ার ড্রোন হামলায় নিকোপোলে ৫৯ বছর বয়সি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

কুপিয়ান্সক থেকে ২৭৫টি বাচ্চাকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গতবছর ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে লাখ লাখ গোলা ফেলেছে। ইউক্রেনের বহু জনবসতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

কিয়েভ জানিয়েছে, রাশিয়া সারারাত ধরে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ড্রোনের সাহায্যে আক্রমণ করেছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, প্রচুর ড্রোনকে তারা মাঝপথে ধ্বংস করে দিতে পেরেছে। বেশ কিছু মিসাইলকেও অকেজো করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু পলটাভা এলাকায় একটি তেল শোধনাগারে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে আঘাত করে এবং সেখানে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন নেভানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে সেনা জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়া গোলা দিচ্ছে, অভিযোগ

দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থার অভিযোগ, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে লাখ লাখ গোলা সরবরাহ করেছে। অগাস্টের প্রথমে এই গোলা উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়া গিয়ে পৌঁছেছে।

গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়া গিয়ে পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।

অ্যামেরিকা আগেই অভিযোগ করেছিল, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে গোলাবারুদ পাচ্ছে রাশিয়া। বিনিময়ে তারা উত্তর কোরিয়াকে তাদের ব্য়ালেস্টিক কর্মসূচির জন্য প্রযুক্তি সরবরাহ করছে।

তবে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

'সেনা-রিজার্ভ চাই'

ইউত্রেনের সেনার কম্যান্ডার ইন চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি জানিয়েছেন, ''যুদ্ধ এখন নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে। ফলে ইউক্রেনকে আরো বেশি নাগরিককে সেনায় যোগ দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।''

সংবাদপত্রে একটি নিবন্ধ লিখে তিনি জানিয়েছেন, ''ইউক্রেনের এখন সেনা-রিজার্ভ দরকার। কিন্তু আইনে ফাঁক আছে বলে অনেকে সেনায় যোগ দিচ্ছেন না।'' তবে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন, দেশের মধ্যে নতুনদের প্রশিক্ষিত করার ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ।

তবে তার দাবি, ''এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।'' তিনি বলেছেন, ''রাশিয়ার কাছে শক্তিশালী বিমান বাহিনী আছে। তারা এই শীতে ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিডের উপর হামলা করার চেষ্টা করবে।''

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)