1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমাদের পানীয় জল আসলে কতটা নিরাপদ?

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অসুখ হলে অনেকেরই মুড়িমুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবার অভ্যাস রয়েছে৷ অথচ এর ভুল বা অপ্রয়োজনীয় প্রয়োগের ফলে মাল্টিরেজিস্টেন্ট জীবাণু সেই অ্যান্টিবায়োটিককে অকেজো করে দিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/35Njm
Symbolbild Tabletten Medikamente
ছবি: picture-alliance/dpa/F. May

ওয়াটার স্পোর্টস অনুরাগী, পথিক ও পর্যটক – সবার কাছে জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের সুইশেনআনার মেয়ার হ্রদ স্বর্গরাজ্যের মতো৷ কিন্তু সেখানেই মাল্টিরেজিস্টেন্ট জীবাণু পাওয়া গেছে৷ সেই এক্সটেন্ডেড স্পেকট্রাম বিটাল্যাকটামেস বা ইএসবিএল জীবাণু এবং মাল্টিড্রাগ-রেজিস্টেন্ট গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া বা এমআরজিএন একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে৷

সেই জীবাণু মূত্রাশয় বা ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে – এমনকি রক্তে বিষক্রিয়াও ঘটাতে পারে৷ এই ধরনের জীবাণু সাধারণত এমন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বড় মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় – যেমন হাসপাতাল বা পশুখামার৷

জলাশয়েও তাদের চিহ্ন পেয়ে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী প্রো. ইয়োহানেস ক্নোবলখ-এর মতো বিশেষজ্ঞরা মোটেই বিস্মিত হননি৷ তবে তাঁরা এমন ধরনের জীবাণু আশা করেননি৷ সব রকম অ্যাকটিভ সাবস্ট্যান্স ব্যর্থ হলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে যে জীবাণু ব্যবহার করা যায়, হ্রদের পানিতে সেটি পাওয়া গেছে৷ প্রো. ক্নোবলখ বলেন, ‘‘জার্মানিতে রোগীদের শরীরে এই ধরনের রেজিস্টেন্স এখনো অত্যন্ত বিরল৷ তা সত্ত্বেও আমাদের মনে এ সম্পর্কে চরম ভীতি কাজ করে৷ কীভাবে সেগুলির প্রসার ঘটে, তা নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করি৷ আগামী কয়েক বছরে এ ক্ষেত্রে আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন হবে৷''

ক্নোবলখ হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি বিভাগের প্রধান৷ শোধনাগারগুলি মাল্টিরেজিস্টেন্ট জীবাণু কতটা নিষ্ক্রিয় করতে পারে, ২০১৭ সাল থেকে এক গবেষণামূলক প্রকল্পের আওতায় তিনি সেই পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

অনেক প্লান্ট এমন জীবাণু আংশিকভাবে ছেঁকে নিতে পারে৷ ফলে সেই জীবাণু বিশেষ করে হাসপাতাল বা পশুখামারের কাছের পানিতে পৌঁছে যায়৷ বিশেষ করে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ কারণ বৃষ্টির পানির সঙ্গে কখনো প্রাণিজ সার ও অপরিশোধিত নর্দমার পানি সরাসরি নদীনালা ও হ্রদে পৌঁছে যায়৷

পাখি ও বন্য প্রাণীরাও মাল্টিরেজিস্টেন্ট জীবাণু বহন করে পানিতে নিয়ে আসে৷ তবে সৌভাগ্যবশত বেশিরভাগ জীবাণু বেশি সময় পানিতে জীবিত থাকতে পারে না৷ কিন্তু তার ফলে সমস্যার সমাধান হয় না৷ প্রো. ইয়োহানেস ক্নোবলখ বলেন, ‘‘রেজিস্টেন্স উধাও হয় কিনা, সে বিষয়ে এখনো আমরা নিশ্চিত নই৷ ব্যাকটেরিয়া নিজেদের মধ্যে প্রতিরোধ শক্তি আদানপ্রদানের ক্ষমতা রাখে৷ ফলে কোনো একদিন রেজিস্টেন্সের জেনেটিক তথ্য এমন ব্যাকটেরিয়ার কাছে ফেরত যেতে পারে, যারা মানুষকে অসুস্থ করে তুলতে পারে৷''

অন্য প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে রেজিস্টেন্স হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার ফলে রোগের এমন প্যাথোজেন সৃষ্টি হতে পারে, কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই যাকে কাবু করতে পারবে না৷ যত বেশি প্রতিরোধী জীবাণু পানিতে থাকবে, তাদের মধ্যে আদানপ্রদানের ঝুঁকিও ততটা বাড়বে৷

এখনো পর্যন্ত নদীনালা বা হ্রদে তাদের পরিমাণ যথেষ্ট কম৷ কিন্তু বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া কি সেখান থেকে পানীয় জলেও মিশে যেতে পারে?

বর্তমানে জার্মানিতে পানীয় জলের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নদীনালা, হ্রদ ও বাঁধ থেকে আসে৷ পানীয় জল সরবরাহকারী সংস্থাগুলি ক্ষতিকর জীবাণুর প্রবেশ রুখতে ওজোন ও অতিবেগুনি রশ্মি প্রয়োগ করে এখনই আরও সজাগ হয়ে উঠছে৷ প্রো. ক্নোবলখ বলেন, ‘‘পানীয় জলের নেটওয়ার্কে এমনটা ঘটার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম৷ মাটির উপরের স্তর থেকে পানীয় জল নেবার সময় উচ্চ মানের নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে৷ ফলে সেখানে মাল্টিরেজিস্টেন্ট জীবাণু পাবার আশঙ্কা কম৷''

অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল বা অপ্রয়োজনীয় প্রয়োগের কারণেও প্রতিরোধ দেখা দেয়৷ এমন আচরণে পরিবর্তন না হলে কোনো এক সময় কোনো অ্যান্টিবায়োটিকেই কাজ হবে না৷

আনেটে শ্মালৎস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান