1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিআফগানিস্তান

আফগান নারীদের দুবাই গিয়েও পড়তে দিচ্ছে না তালেবান

৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আফগানিস্তানের যে নারীরা দুবাইতে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন, তাদেরকে দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করতে দিচ্ছে না তালেবান, সকল অনুমতি থাকা সত্ত্বেও৷

https://p.dw.com/p/4VtJ0
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তালেবান কিছুটা হলেও আফগান নারীদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি শিথিল করবে কি?
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তালেবান কিছুটা হলেও আফগান নারীদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি শিথিল করবে কি?ছবি: WAKIL KOHSAR/AFP

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী খালাফ আহমাদ আল হাবতুর এখন পর্যন্ত একশজন আফগান নারীকে বৃত্তি দিয়েছেন দুবাইতে গিয়ে পড়াশোনা করার জন্য৷ কিন্তু তাদের সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ার অনুমতি দিচ্ছে না আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালেবান৷

কথা ছিল গত সপ্তাহেই কাবুল থেকে দুবাই উড়ে যাবেন কয়েকজন আফগান নারী, যেখানে আল হাবতুর তাদের সাথে দেখা করবেন৷ কিন্তু রওয়ানা দেওয়ার অল্প সময় আগেই তালেবান তাদের থামিয়ে দেয়৷

ডয়চে ভেলেকে আল হাবতুর বলেন, ‘‘তালেবান যে এভাবে তাদের যাত্রা থামিয়েদেয়, তা আমরা ভাবিনি৷ আমরা অবাক হয়েছি কারণ দুবাইতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে সব ধরনের অনুমতি নিয়েছি আমরা, যেমন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভিবাসন দপ্তর, পুলিশ সবাই সাহায্য করেছেন৷ সব কিছু প্রস্তুত ছিল৷''

দুবাইয়ের ধনকুবের ও আল হাবতুর গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক গণমাধ্যম এক্সে (যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল) এমনই এক আফগান নারীর পাঠানো একটি ভয়েস রেকর্ডিং প্রকাশ করেন৷ সেখানে সেই নারী বলেন কীভাবে তিনি তালেবানের আইন মেনেই সঙ্গে একজন পুরুষ সঙ্গী নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিলেন৷ কিন্তু তাকে আটকে দেওয়া হয়৷

প্রতিবাদে মানবাধিকার সংগঠন

দু' দশক পর আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আবার তালেবান৷ প্রাথমিকভাবে ক্ষমতায় এসে তারা বলেছিল যে নারীদের অধিকার শরিয়া আইন অনুসারেই তারা করবে৷ কিন্তু সময় যেতে যেতে দেখা যায় যে নারীদের ওপর আরো কড়াকড়ি বাড়িয়েছে তারা৷ গণপরিসর থেকে, যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চাকরির বাজার থেকে দৈনন্দিন চলাফেরার ক্ষেত্রেও ব্যাপক নিয়ম চালু করা হয়েছে নারীদের জন্য৷

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে৷ তারা জানায় যে নারী সমাজকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সরকারি কর্মী ও সংখ্যালঘু নারীদের আলাদা করে হেনস্থার প্রমাণও দেখেছে তারা৷

আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবিতে আফগান নারীরা

পড়তে চেয়েও না পারা আফগান তরুণী জাহরা রাজাবি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পুরো পৃথিবী শুধু দেখছে৷ আমরা শুনে শুনে ক্লান্ত যে মানুষ আমাদের কথা ভেবে কষ্ট পাচ্ছে৷ চাইলেই আন্তর্জাতিক মহল একটা দৃঢ় পক্ষ নিয়ে এই পরিস্থিতি বদলাতে সাহায্য করতে পারে৷''

রাজাবি আশা রাখছেন যে হয়তো আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তালেবান কিছুটা হলেও আফগান নারীদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি শিথিল করবে৷

রাজাবির মতো একই পরিস্থিতিতে আছেন আরো অনেক আফগান নারী, যারা চান বাইরে গিয়ে নিজেদের শিক্ষা সম্পন্ন করতে৷ আল হাবতুরের বৃত্তি পেয়ে ২৪ আগস্ট তিনজন আফগান নারী দুবাইতে এসে পড়াশোনা শুরু করতে পেরেছেন৷

আল হাবতুর জানান, ‘‘কথোপকথন ও আলোচনা চলছে, কিন্তু আমরা সেটি করছি না৷ অদূর ভবিষ্যতে সুরাহার আশা রাখছি আমরা, শিগগিরই এই সমস্যার নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করছি৷''

তালেবান বিরুদ্ধে লড়ছেন যে আফগান নারী

শবনম ফন হাইন/এসএস