1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৩০ লক্ষ শ্রমিক ঝুঁকিতে!

১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

রানা প্লাজায় দুর্ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে আড়াই বছর৷ এই সময়ে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তাঁদের কাজের পরিবেশের উন্নয়নে কয়েকটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1HPz5
Bangladesch Textilfabrik Jahrestag Rana
ছবি: DW/M. Mamun

ইউরোপ ও অ্যামেরিকার রিটেইলারদের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফর ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি' এবং ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি' নামে দুটি শ্রমিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু হয়৷ এর আওতায় পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর কাছে যেসব কারখানা পোশাক রপ্তানি করে সেসব কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেয়া হয়৷ তবে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টার্ন সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস'-এর এক প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের সাত হাজারেরও বেশি কারখানা রপ্তানির জন্য পোশাক তৈরি করে৷ এর মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কারখানা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য পোশাক তৈরি করে৷ কিন্তু ঐ দুটি নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় রয়েছে মাত্র ১,৮০০টির মতো কারখানা৷ সে হিসেবে বাকি কারখানাগুলোর শ্রমিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে রয়েছে প্রতিবেদনে জানানো হয়৷

এদিকে, গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পোশাক কারখানা পরিদর্শনের ফল প্রকাশ করে৷ এতে তারা ৮১ শতাংশ কারখানাকে ‘নিরাপদ' বলে উল্লেখ করে৷

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে সে বিষয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন৷ সেখানে একজন বলেন, ‘‘... ইউরোপীয় ক্রেতারা আমাদের কাছে আইসা দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো কমপ্লায়েন্স দাবি করবে আর দুনিয়ার সবচেয়ে কম টাকা দেবে, এটা কীভাবে সম্ভব?'' রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-এর পরিচালক সারা হোসেন এরও মন্তব্য নেয়া হয়৷ তিনি বলেন, রানা প্লাজা ঘটনার পর বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে যে ধরণের নেতিবাচক ক্যাম্পেন শুরু হয়েছিল যেমন ‘মেড ইন বাংলাদেশ মিনস মেড উইথ ব্লাড' – সেটা শ্রমিকদের জন্য সহায়ক ছিল না৷

সারা হোসেন বলেন, কারখানা বন্ধ করে দেয়া কোনো সমাধান না, শ্রমিকদের বিক্ষোভের জন্য রাস্তায় নামিয়ে দেয়াটাও কোনো সমাধান নয়৷ ‘‘আমরা নারী শ্রমিকদের তাঁদের গ্রামে পাঠিয়ে দিতে চাই না৷ আমরা কোনো নেগেটিভ ক্যাম্পেনও চাই না৷ বরং আমরা এমনটা বলতে সমর্থ হতে চাই যে, ‘মেড ইন বাংলাদেশ মিনস মেড উইথ প্রাইড'৷''

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান