1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জয় বাংলা’ কবি নজরুল

২৭ আগস্ট ২০১৩

বুধবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ফেসবুক ব্যবহারকারী আর ব্লগাররা বিভিন্নভাবে কবিকে স্মরণ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/19Wgj
ছবি: Public domain

কেউবা নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে কবির কবিতা থেকে একটা বা দুটো লাইন ব্যবহার করে, কেউবা ব্লগে নজরুলের পুরো কবিতা প্রকাশ করে বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানের কথা তুলে ধরেছেন৷ যেমন সামহয়্যার ইন ব্লগে বেলাল তামজীদের পোস্টে রয়েছে নজরুলের ‘বিদ্রোহী' কবিতাটি৷

আসিফ এন্তাজ রবির ফেসবুক স্ট্যাটাস হলো ‘‘আমি চিরতরে দূরে চলে যাব; তবু আমারে দেব না ভুলিতে৷''

এদিকে জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি পরিচয়ের পাশাপাশি নজরুলের আরেকটি পরিচয়ের কথা জানালেন সাংসদ জুনায়েদ আহমেদ পলক৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘ভাঙার গান' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ‘পূর্ণ চন্দ্র' কবিতায় শেষের দিকে আছে ‘বাংলা বাঙালির হোক, বাংলার জয় হোক, জয় বাংলা'৷... এই কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই আওয়ামী লীগের জনসভার শেষে বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিতে শুরু করেন ‘জয় বাংলা, জয় বাংলা ভাষা, জয় হোক বাংলার মানুষের৷''

Kazi Nazrul Islam, Dichter, Bangladesch
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামছবি: Harun Ur Rashid Swapan

অবশ্য, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের ‘কালের কণ্ঠ'য় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ থেকে জানা যায় কবিতাটির নাম আসলে ‘পূর্ণ অভিনন্দন', ‘পূর্ণ চন্দ্র' নয়৷ ‘ভাঙার গান' কাব্যগ্রন্থটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল বলেও জানান শামসুজ্জামান খান৷

এদিকে, উইকিপিডিয়া সূত্রে প্রাপ্ত আ স ম আব্দুর রবের একটি সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, ১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের বিশাল এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো ‘জয় বাংলা' স্লোগানটি উচ্চারণ করেছিলেন৷ এরপর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণও তিনি সমাপ্ত করেছিলেন ‘জয় বাংলা' দিয়ে৷

মুনতাসির মামুন সম্পাদিত ‘কিশোর মুক্তিযুদ্ধ কোষ' গ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘‘জয় বাংলা শ্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালির প্রেরণার উৎস৷ সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর অবধারিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জয় উদযাপন করতো৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য