1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমলাতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই’

প্রভাষ আমিন
১৪ অক্টোবর ২০২২

জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসক-ডিসি ও পুলিশ সুপার-এসপিদের ডেকেছিল৷ শনিবার এই মতবিনিময় সভায় নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4IBpb
গতবছর হিন্দুদের মন্দিরে হামলার পর পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন সরকারি কর্মকর্তারা
গতবছর হিন্দুদের মন্দিরে হামলার পর পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন সরকারি কর্মকর্তারাছবি: bdnews24.com

আর যে কোনো নির্বাচনের আগে মাঠ পর্যায়ের কমকর্তাদের সাথে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভাটাও রুটিন বৈঠক৷ কিন্তু এবার সেই রুটিন বৈঠকেই ঘটেছে নজিরবিহীন ঘটনা৷ নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান ‘ডিসি-এসপি’দের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনেন৷ তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আমলারা৷ নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের মুখের ওপরই তারা হৈচৈ শুরু করেন৷ এক পর্যায়ে কমিশনার তার বক্তব্য অসমাপ্ত রেখেই বসে যেতে বাধ্য হন৷ আনিছুর রহমান নিজেও আমলা ছিলেন৷ সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়ার পরই তিনি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পান৷ নির্বাচন কমিশনের সাথে মতবিনিময়ে, বিশেষ করে একজন সাবেক সিনিয়র সচিবের মুখের ওপর মাঠ পর্যায়ের এই হট্টগোল নজিরবিহীনই বটে৷ নির্বাচনের সময় মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন কমিশনের অধীনে থাকে৷ প্রশাসনের আন্তরিক সহায়তা ছাড়া কমিশনের পক্ষে একটি ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়৷ তাই মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর কমিশনের নিয়ন্ত্রণ থাকাটা খুব জরুরি৷ কিন্তু শনিবারের সেই সভায় প্রমাণিত হয়েছে, সেই অতি জরুরি নিয়ন্ত্রণটা কত আলগা৷ নিয়ন্ত্রণ সত্যিই কতটা আলগা, হাতেকলমে তার প্রমাণ পেতে নির্বাচন কমিশনকে মাত্র তিনদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে৷ বুধবার গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এক পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন ঢাকায় বসে সিসিটিভি মনিটরের ভিত্তিতে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেই স্বীকার করেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম দেখে পুলিশ ও প্রশাসনকে শৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দেয়ার পরও তা না মানায় ভোট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন

নির্বাচন কমিশন যখন জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ধরে এগুচ্ছে, নির্বাচনের যখন আর মাত্র ১৪ মাস বাকি; তখন নির্বাচন কমিশনের সাথে প্রশাসনের এই মানসিক দূরত্ব খুবই শঙ্কার৷ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া উপায় নেই কমিশনের৷ তবে নির্বাচন কমিশন এই নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে৷ সাধারণত জেলা প্রশাসকরাই জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন৷ এবার নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসকদের পাশাপাশি কিছু এলাকায় নির্বাচনি কর্মকর্তাদেরও রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবছে৷ রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে না থাকলে নির্বাচনের ওপর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে৷ ক্ষোভের বারুদ জমেছে সেখান থেকেই৷ তাতে স্পার্ক এনেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান৷ তিনি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন৷ কিন্তু সরকারি দলের প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে তাকে এ পদ থেকে সরিয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন৷ সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলে ডিসি মমিনুর রহমান তার পক্ষে মোনাজাত ও ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে৷ এছাড়া তিনি দেশের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে বিএনপি-জামায়াতেরও দোয়া করা উচিত বলে মন্তব্য করেন৷ তবে চট্টগ্রামের ডিসিকে রিটার্নিং অফিসারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা৷ যার বিস্ফোরণটা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সাথে মতবিনিময়ে৷

সেই মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কিছু জরুরি কথা বলেছেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘সংসদীয় ব্যবস্থা এমন যে সরকার ও দল আলাদা করা অনেক সময় কষ্টকর৷ অনেক সময় অলক্ষ্যে প্রভাব চলে আসতে পারে৷ তবে নির্বাচন কমিশন এবার শক্ত অবস্থানে থাকবে৷ দলীয় কর্মী হিসেবে নয়, সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ ইসি সেটা পর্যবেক্ষণ করবে৷’ সভায় সিইসি ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রচুর অভিযোগ আসছে৷ শক্তি প্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন, মনোনয়ন প্রত্যাহারে হুমকিসহ নানা অভিযোগ ইসি পেয়েছে৷ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অবৈধ হস্তক্ষেপ কঠোরভাবে প্রতিহত না করলে নির্বাচন নির্বাচন হবে না৷ তা হবে প্রহসন৷ ...আপনারা কেবল সরকারি কর্মচারী নন, গণকর্মচারী (পাবলিক সার্ভেন্ট)৷ আপনারা সরকারের অবাধ্য হবেন না৷ কিন্তু সরকার ও দলের মধ্যে প্রভেদ বিবেচনায় রেখে দলনিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন৷ দলীয় সরকারের অধীন মনে করে নিজেদের দলীয় কর্মী বা সমর্থক ভাববেন না৷ এমন আচরণ করবেন না, যাতে সরকারি বা গণকর্মচারী হিসেবে আপনাদের দলনিরপেক্ষতা জনগণের দৃষ্টিতে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে৷’ আসল সমস্যাটা এখানেই৷ কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেও শীর্ষ আমলা ছিলেন৷ তাই সমস্যাটি তিনি ধরতে পেরেছেন৷ চট্টগ্রামের ডিসি মমিনুর রহমানের অনেকেই সরকারের কর্মচারি হলেও আচরণ করেছেন দলীয় কর্মীর মতো৷

সমস্যাটা অনেক পুরোনো৷ তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আমলাতন্ত্র দৃষ্টিকটুভাবে সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করছে এবং কেউ কেউ নিজেদের মূল দায়িত্ব ভুলে দলীয় কর্মীর মতো কাজ করছেন৷ অনেকেই মনে করেন, ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আনতে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল৷ তাতেই তারা নিজেদের সর্বেসর্বা ভাবতে শুরু করেছেন৷ ক্ষমতায় আসতে নেতা, কর্মী, জনগণের ভোটের গুরুত্ব কমে যাওয়ার সাথে সাথে রাজনীতিতেও রাজনীতিবিদদের প্রভাব কমেছে৷ আওয়ামী লীগকে তারাই ক্ষমতায় এনেছেন, এমন ভাবনাতেই আমলারা সর্বত্র ছড়ি ঘোরাচ্ছেন৷ এ কারণেই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব চলে যাওয়ার আশঙ্কাটা তাদের জন্য উদ্বেগের৷

একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিরাই নীতিনির্ধারণ করেন৷ আর আমলারা সেই নীতি মাঠপর্যায়ে প্রয়োগ করেন৷ বাংলাদেশে কেন্দ্র থেকে স্থানীয় সরকার- সব ধাপেই জনপ্রতিনিধি আছেন৷ জনগণের ভোটে নির্বাচিত এমপি, মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, সদস্যরা থাকলেও নীতিনির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নে তাদের ভূমিকা সামান্যই৷ আমলারা কিন্তু জনপ্রতিনিধি নন, তাই জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিও করতে হয় না৷ অনেক দিন ধরেই দেশে কার্যকর গণতন্ত্র নেই৷ তাই জনপ্রতিনিধিরাও আর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তেমন ভূমিকা রাখেন না৷ দেশ এখন আমলাশাসিত৷ আমলারাই নীতিনির্ধারণ করেন, তারাই তা প্রয়োগ করেন৷ বিশেষ করে করোনা দুর্যোগের সময় মাঠে রাজনীতিবিদদের চেয়ে আমলাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল বেশি৷ সচিবরা জেলা পর্যায়ে সমন্বয় করেছেন৷ তোফায়েল আহমেদের মত ঝানু রাজনীতিবিদও সংসদে আমলাদের বাড়াবাড়ি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন৷ সেদিন সংসদে তোফায়েল আহমেদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে  জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশীদও রাজনীতিবিদদের অসহায়ত্বের চিত্র তুলে ধরে বলেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের সাথে কথা বলেন৷ আর এমপি সাহেবরা পাশাপাশি বসে থাকেন, দূরে৷ তারপর বলেন ডিসি সাব, আমি একটু কথা বলব প্রধানমন্ত্রীর সাথে৷ এই হচ্ছে রাজনীতিবিদদের অবস্থা৷’ এর জন্য আমি অবশ্য আমলাদের ততটা দোষ দিই না৷ এই পরিস্থিতি আমরাই তৈরি করেছি৷ ক্ষমতা পেলে কেউ কেউ তো তার অপব্যবহার করতেই পারে৷ রাজনীতিতে রাজনীতিবিদদের কর্তৃত্ব কমিয়ে আমলাদের কর্তৃত্ব বাড়ানোর দায়ও তো রাজনীতিবিদদেরই নিতে হবে৷

প্রভাষ আমিন, সাংবাদিক ও লেখক
প্রভাষ আমিন, সাংবাদিক ও লেখক ছবি: DW/S. Hossain

দেশসেরা মেধাবীরাই বিসিএসের নানা ধাপ পেরিয়ে আমলা হন৷ বাস্তবে আমলাদের হওয়ার কথা জনগণের সেবক৷ কিন্তু দায়িত্ব পেয়েই তারা জনগণের শাসক বনে যায়৷ চাকরি পাওয়ার পর থেকেই আমলারা নিজেদের চারপাশে একটা বিচ্ছিন্নতার দেয়াল তুলে দেন৷ জনগণ বারবার সেই দেয়ালে গিয়ে হোঁচট খায়৷ এভাবেই আমলাদের সঙ্গে জনগণের একটা বিশাল ফারাক তৈরি হয়৷ ‘স্যার’ না বলায় ইউএনওদের ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা আমরা প্রায়ই শুনি৷ আমলাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অনেক অভিযোগ আসে৷ কিন্তু তার প্রতিকার হয় কম৷ সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে এক ইউএনও খেলাধুলার অনুষ্ঠানে গিয়ে ট্রফি ভেঙে ফেলার পর তাকে ঢাকা বিভাগে বদলি করা হয়েছে৷ সাধারণত আমলাদের শাস্তিমূলক বদলি হিসেবে পার্বত্য এলাকায় পাঠানো হয়৷ কিন্তু খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় বদলি কোন ধরনের শাস্তি, তা বোধগম্য নয়৷

কিছু আমলার বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহার, দলীয় কর্মীর মত আচরণ, দুর্নীতির অভিযোগ যেমন আছে; তেমনি শত শত মানবিক, দক্ষ, যোগ্য, সৎ পেশাদার আমলাও আছেন দেশে৷ আমি বিশ্বাস করি, এখনও পেশাদার আমলার সংখ্যাই বেশি৷ তারা আছে বলেই দেশটা এখনও ঠিকঠাকমতো চলছে৷ আমলাতন্ত্র যুগে যুগে ছিল, আছে, থাকবে৷ আমলাতন্ত্র নিয়ে আমাদের আলোচনা-সমালোচনাও আমলাতন্ত্রের সমান বয়সি৷ তবে সম্প্রতি নানা কারণে আমলাতন্ত্র নিয়ে আলোচনা বেশি হচ্ছে৷ বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নিজেও একসময় আমলা ছিলেন৷ নানা সময়ে তিনি আমলাতন্ত্র নিয়ে কিছু চাছাছোলা সত্য কথা বলেছেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘আমলাতন্ত্রের বিকল্পও তো নাই৷ কেউ আমলাতন্ত্রের বিকল্প বের করতে পারেনি৷ সোভিয়েত ইউনিয়ন এর বিকল্প বের করতে পারেনি৷ চীনারা পারেনি৷ ফেরাউনও পারেনি৷ খলিফারাও পারেনি৷ সেই মহান আমলাতন্ত্র আমাদের মাঝেও আছে৷’

এম এ মান্নান সত্যি কথাটাই বলেছেন৷ আসলেই আমলাতন্ত্রের কোনো বিকল্প কেউ কখনও বের করতে পারেনি৷ তাই ঢালাও গালি না দিয়ে আমলাতন্ত্রকে কীভাবে জনবান্ধব করা যায় তার উপায় বের করতে হবে৷ আমলা হওয়ার আগে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ সেই প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ায় আমলাতন্ত্র শেখানোর পাশাপাশি তাদের মানবিকতার প্রাথমিক পাঠ শেখাতে হবে৷ বিসিএস দিয়েই যেন কেউ প্রশাসক বনে না যান৷ শেখাতে হবে তারা জনগণের শাসক নয়, সেবক৷ ভয় দেখিয়ে বা জোর জনগণের সমীহ আদায় করা যাবে না, ভালোবেসে তাদের হৃদয় জয় করতে হবে৷ করোনার সময় ৩৩৩ তে ফোন করে খাবার চাওয়ার অপরাধে এক গরিব মানুষকে ৪০০ লোকের খাবার দেয়ার শাস্তি বা ছাগল ফুলগাছ খাওয়ায় মালিকের জরিমানা করার ঘটনা আমলাতন্ত্র সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাই শুধু তৈরি করে৷ আমলারা অবশ্যই আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে কঠোর হবেন; একই সঙ্গে তাদের মানবিকও হতে হবে৷

তবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকতাদের সাথে মতবিনিময়ে সিইসি যেটা বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে নেখে সেটাই সবচেয়ে জরুরি- আমলাদের দলীয় কর্মী হিসেবে নয়, সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে৷