জার্মান পুনর্মিলন
৩ অক্টোবর ২০১৫নয়ত এই পঁচিশ বছরে মোট ৩৩ লাখ মানুষ পুব থেকে পশ্চিমে চলে আসতেন না৷ সে তুলনায় পশ্চিম থেকে পুবে গেছেন ২১ লাখ মানুষ৷ সেই সঙ্গে আছে জন্মহার হ্রাস৷ কাজেই সব মিলিয়ে ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে জার্মানির পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যা বিশ লাখ কমে দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি পঁচিশ লক্ষে৷ এ কথা জানিয়েছেন ফেডারাল পরিসংখ্যান দপ্তরের প্রধান রোডেরিশ এগেলার৷ তবে ২০১২ এবং ২০১৩ সালে এই প্রবণতা কিছুটা কমে; এমনকি ২০১৩ সালে পশ্চিম থেকে বাস উঠিয়ে যত মানুষ বার্লিন ও সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলিতে গেছেন, পুব থেকে পশ্চিমে তত মানুষ আসেননি৷
প্রবীণদের সংখ্যা বেশি, বেকারত্বও বেশি
জার্মানির পূর্বাঞ্চলের তথাকথিত ‘নয়া' ফেডারাল রাজ্যগুলিতে – এক বার্লিন বাদে – জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশের বয়স ছিল চল্লিশের ওপর – এ-টা ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান৷ ১৯৯১ সালে কিন্তু সেই জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশের বয়স ছিল চল্লিশের বেশি৷ অবশ্য জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও চল্লিশোর্ধে মানুষদের অনুপাত ১৯৯১ সালে ছিল ৪৭ শতাংশ, যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে৷
কিন্তু কর্মজীবীদের পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০১৩, এই ২২ বছরে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে কর্মরত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১৩ দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৪২ লক্ষে; পুবে (বার্লিন বাদে) সেই সংখ্যা ১৪ দশমিক চার শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮ লক্ষে৷ আরো বড় কথা, গতবছর জার্মানির পূর্বাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল বারো শতাংশ, যা কিনা পশ্চিমের প্রায় দ্বিগুণ৷
তবে পুবের পরিস্থিতি যে ক্রমেই আরো ভালো হয়ে এসেছে, তার প্রমাণ: ১৯৯৭ সালে পুবে বেকারত্বের হার ছিল ১৭ দশমিক সাত শতাংশ, যা কিনা ১৯৯১ সালের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি৷ বেতন বা পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও পশ্চিম আর পুবের মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে৷ পুবের বেতন আজ পশ্চিমের ৭৬ শতাংশ, ১৯৯১ সালে যা ছিল ৪৭ শতাংশ৷
অর্থাৎ বহু ক্ষেত্রেই দুই জার্মানির পুনর্মিলন একটি চলমান প্রক্রিয়া বা প্রবণতা৷ তার গতির কম-বেশি হতে পারে, কিন্তু দিক বা লক্ষ্যের ভুল হবার কোনো সম্ভাবনা নেই৷
এসি/ডিজি (এএফডি, ইপিডি)