1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০২৩-এ জনসংখ্যায় চীনকে টপকে যাবে ভারত

১১ জুলাই ২০২২

আর মাত্র এক বছরের মধ্যেই চীনকে টপকে যাবে ভারত। জনসংখ্যায়। বলছে, জাতিসংঘের রিপোর্ট, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ফোরকাস্ট, ২০২২।

https://p.dw.com/p/4DwUm
২০২৩ সালে ভারত চীনকে ছাপিয়ে সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে।
২০২৩ সালে ভারত চীনকে ছাপিয়ে সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে। ছবি: Rafiq Maqbool/AP Photo/picture alliance

২০২৩ সালে চীনকে টপকে ২০৫০ সালে অনেকখানি এগিয়ে যাবে ভারত। জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, ২০২২-এ চীনের জনসংখ্যা হবে ১৪২ কোটি ৬০ লাখ। একটু পিছনে থাকা ভারতের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৪১ কোটি ২০ লাখ। ১৯৯০ সালে ভারতের জনসংখ্যা ছিল ৮৬ কোটি ১০ লাখ। কিন্তু ২০২৩-এর মধ্যেই ভারত মোট জনসংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। আর ২০৫০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১৬৬ কোটি ৮০ লাখ। তখন চীনের জনসংখ্যা কমে দাঁড়াবে ১৩১ কোটি ৭০ লাখ। ২০৫০ সালে জনসংখ্যার নিরিখে ভারতের আশেপাশে কেউ থাকবে না।

তবে শুধু ভারত নয়, পাকিস্তানের জনসংখ্যাও আগামী দিনে অনেকটাই বাড়বে। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৪০ লাখ। জনসংখ্যার তালিকায় পাকিস্তান ছিল আট নম্বর দেশ। ২০২২ সালে সেই পাকিস্তান উঠে যাবে পাঁচ নম্বরে। তাদের জনসংখ্যা হবে ২৩ কোটি ৩০ লক্ষ। আর ২০৫০ সালেও তারা পাঁচ নম্বরে থাকবে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে।

বাংলাদেশের হিসাব

১৯৯০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৬০ লাখ, তারা তালিকায় ছিল নয় নম্বরে। ২০২২-এ তারা এক ধাপ উঠে আট নম্বরে যাবে। ২০২২-এর শেষে তাদের জনসংখ্যা হবে ১৭ কোটি। আর ২০৫০ সালে তারা দুই ধাপ নেমে দশ নম্বরে যাবে। তখন তাদের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৪০ লাখ। তবে এটাও ঘটনা, ভারতের মতো বাংলাদেশের জনসংখ্যাও ৬০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হবে।

রিপোর্ট বলছে, ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে এক কোটি ৬৫ লাখ, ভারত থেকে ৩৫ লাখ এবং বাংলাদেশ থেকে ২৯ লাখ মানুষ শ্রমিকের কাজ নিয়ে সাময়িকভাবে অন্য দেশে গেছেন।

জনসংখ্যা কমবে যে দেশে

২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে ৬১টি দেশের জনসংখ্যা এক শতাংশ বা তার বেশি কমবে। তার মধ্যে চীন যেমন আছে, তেমনই আছে রাশিয়া, বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া ও ইউক্রেন।

১৯৯০ সালে রাশিয়ার জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৮০ লাখ। ২০২২-এ তা কমে হবে ১৪ কোটি ৫০ লাখ। আর ২০৫০ সালে তা অনেকটা কমে হবে ১৩ কোটি ৩০ লাখ।

অ্যামেরিকা তিনেই থাকবে

১৯৯০ সালে অ্যামেরিকা জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের তিন নম্বর দেশ ছিল। তখন তাদের জনসংখ্যা ছিল ২৪ কোটি ৬০ লাখ। ২০২২-ও তারা তিন নম্বরে থাকবে। তবে তাদের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩৩ কোটি ৭০ লাখ। ২০৫০-এও তারা তিনেই থাকবে, তবে তখন তাদের জনসংখ্যা হবে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ।

এখন ছেলে বেশি

বিশ্বে এখন ছেলেদের সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় একটু বেশি। মোট জনসংখ্যার ৫০ দশমিক তিন শতাংশ ছেলে এবং ৪৯ দশমিক সাত শতাংশ মেয়ে। তবে ২০৫০-এ ছেলে ও মেয়ের সংখ্যা সমান হয়ে যাবে।

যে সব দেশে জনসংখ্যার হার কমবে, সেখানে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়বে। ২০২২ সালে ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের সংখ্যা হবে ৭৭ কোটি ১০ লাখ। ২০৩০-এ সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৯৯ কোটি ৪০ লাখ। আর ২০৫০-এ ১৬০ কোটি মানুষের বয়স হবে ৬৫ বছর বা তার বেশি।

কম হার

১৯৫০-এর পরে ২০২২-এ এসে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে ধীরগতিতে বাড়ছে। ২০২০-তে তা এক শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল।

তবে ২০২২-এ বিশ্বের জনসংখ্যা আটশ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল। ২০২২ সালে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৯ শতাংশ এই দুই অঞ্চলে থাকবেন।

২০৫০ সালে বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার প্রজেক্ট করা হয়েছে, তার মধ্যে অর্ধেক আসবে আটটি দেশ থেকে। এই আট দেশ হলো, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন্স ও ভারত।

জিএইচ/কেএম(জাতিসংঘের রিপোর্ট)