1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি

হাফসা হোসাইন১১ সেপ্টেম্বর ২০০৮

আন্তর্জাতিক আদালতে ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছেন ইতালীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা জিলিয়েতো কিয়েসা৷

https://p.dw.com/p/FFzj
১১ই সেপ্টেম্বর, ২০০১ ...ছবি: AP

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলা নিয়ে জার্মানির বার্লিনে এক টিভি বিতর্কে এই দাবি তোলেন তিনি৷ আর এ বিষয়ে জনসমর্থন আদায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে তাঁর আলোড়ন তোলা প্রামাণ্য চিত্র ´জিরো´র প্রদর্শনী৷

বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে কিয়েসার ´জিরো´ নিয়ে৷ ইতালি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং মে মাসে জার্মানির মিউনিখের পর সম্প্রতি বার্লিনে দেখানো হলো ১১ই সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্রটি৷ সমালোচনামূলক এই প্রামাণ্য চিত্রে ইতালীয় পার্লামেন্ট সদস্য ও ঝানু সাংবাদিক কিয়েসা হামলার মার্কিন তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ সমালোচনা করেছেন ওই ঘটনা নিয়ে মার্কিন সরকারের ভাষ্যের৷ চিহ্নিত করেছেন নানা ভুল ভ্রান্তি৷

Bildgalerie 11. September 2001 Fulton Street
১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলা থেকে প্রানে বেঁচে গেছেন তারা ...ছবি: AP

মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কন্ট্রোলার, এয়ার ফোর্স পাইলট, সেনা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পদার্থবিদদেরও রাখা হয়েছে ´জিরো´তে৷ এমনকি এফবিআই এবং সিআইএ এজেন্টরাও মুখ খুলেছেন এখানে৷ তাদের এই দু:সাহসী ভূমিকার কারণেই সফলভাবে প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ সম্ভব হয়েছে বলে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন নির্মাতা কিয়েসা৷ আর এই প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করতে চান তিনি৷

বার্লিনে জিরোর প্রদর্শনীর সময় কিয়েসা নিজেও ছিলেন দর্শক সারিতে৷ সেই সঙ্গে ছিলেন কন্সপিরেসি থিওরির সাথে যুক্ত দাশর্নিক, শিক্ষাবিদ, চিত্রনাট্যকার এবং সাহিত্যিকরাও৷ দর্শকদের উদ্দেশ্যে জিলিয়েতো কিয়েসা বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে তদন্তের মাধ্যমে ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার আসল কাহিনী প্রমাণ করা সম্ভব৷

১১ই সেপ্টেম্বরের সাত বছর পূর্তিতে প্রামাণ্য চিত্রটি দেখানো হবে রাশিয়ায়৷ সেদিন ৩ কোটি রুশ নাগরিক এটি দেখে প্রকৃত সত্যটা জানবে বলে আশা করছেন কিয়েসা৷

টিভি বিতর্কে নানা প্রশ্ন

বার্লিনে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি আয়োজন করা হয় ১১ই সেপ্টেম্বরের উপর টিভি বিতর্কেরও৷ আর এতে অংশ নেন কিয়েসাসহ ৬ জন বিশেষজ্ঞ৷ টুইন টাওয়ারে হামলার উপর আরো তদন্তের আহ্বান জানান তিনি৷ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন বিতর্কিত সাবেক জার্মান প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ফন বিউলো৷

Al Sadr Anhänger in Irak
১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পর সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের ঘোষনা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রছবি: ap

বেশ কড়াভাবেই বিউলো অভিযোগ তুলেছেন যে, নিজেদের এজেন্ডা পূরণে মিথ্যে বলা যে কোন সরকারেই বৈশিষ্ট্য৷ তাই নিজেদের স্বার্থের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র বলেছিলো, আল-কায়দার সঙ্গে প্রয়াত ইরাকী প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের যোগাসূত্রের কথা৷ তার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিরও অভিযোগ তোলা হয়েছিলো কিন্তু ওসব অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিলো তা সিআইএ-ও জানতো৷ তবে মিথ্যার ভিত্তিতেই বিশ্বব্যাপী তথাতথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এ পর্যন্ত যার খেসারত দিয়েছে ১০ লাখ তাজা প্রাণ, মন্তব্য করেছেন তিনি৷

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট এলে মার্কিন নীতিতে কোন পরিবর্তন হবে কি-না তার জবাবে বিউলো স্পষ্টই বলেছেন, ´না´৷ সাড়া জাগানো বই ''টেরর টার্গেট ইউরোপ: দ্যা ডেনজেরাস ডাবল গেইম অব দি সিক্রেট সার্ভিসেস''- এর লেখক বার্লিনবাসী জার্মান সাংবাদিক ইউরগেন এলজেসার ওই বিতর্কে বলেছেন, ১১ই সেপ্টেম্বর হামলা নিয়ে মার্কিন সরকারের ভাষ্যেই রয়েছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য৷

তাঁর প্রশ্ন, বিশ্বের সবচে উন্নত সামরিক শক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতোটা সুরক্ষিত যে, তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মানব ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হামলা চালানো সম্ভব হলো ? আর হামলাকারী বিমানগুলো ধ্বংস করতে কি ইন্টারসেপ্টর জঙ্গি বিমান কিংবা রকেট ছিলো না?