‘হ্যাংওভার’ নিয়ে আদালতের রায়
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯অ্যালকোহল পানের পর হ্যাংওভার হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়৷ অনেকের হয়তো সেটি অল্পতেই কেটে যায়, অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় লাগে৷ এই ধরনের হ্যাংওভার কাটাতেই বাজারে পানীয় (ড্রিংকস পাউডার ) ছেড়েছিল জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি ক্লান্তি, বমি ভাব, আর মাথাব্যথা দূর করতে পারে বলেও দাবি করেছিল তারা৷ এ নিয়েই মামলা করা হয়েছিল আদালতে৷
ফ্রাংকফুর্টের বিচারকরা রায় দিয়েছেন বাদীর পক্ষে৷ অ্যালকোহল পান পরবর্তী প্রভাব কাটানোর নামে তৈরি এমন খাদ্য বা পানীয়কে অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত৷ রায়ে বলা হয়েছে, হ্যাংওভার এক ধরনের অসুস্থতা আর কোনো ধরনের অসুস্থতা খাদ্য বা পানীয় দিয়ে দূর করা যাবে এমন প্রচার চালানো যাবে না৷
‘‘মানুষের অসুস্থতা প্রতিরোধ, চিকিৎসা বা নিরাময় করা যায়, খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে এমন কোনো গুণ আরোপ করার তথ্য দেয়া যাবে না,’’ বলা হয়েছে রায়ে৷
কেন হ্যাংওভারকে অসুস্থতা বলা হচ্ছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে আদালত৷ রায়ে বলা হয়েছে, শরীরের স্বাভাবিক অবস্থা বা কর্মকাণ্ডের ছোটখাট অথবা সাময়িক কোনো পরিবর্তন ঘটলেও সেটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অসুস্থতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷
জার্মানির বিখ্যাত বিয়ার উৎসব ‘অক্টোবরফেস্ট’ শুরুর কয়েকদিন আগেই রায়টি দেয়া হয়েছে৷ ২২ সেপ্টেম্বর মিউনিখে এই উৎসব শুরু হয়েছে৷
এফএস/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)