1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হোমসে আরব লিগের পর্যবেক্ষক দল

২৭ ডিসেম্বর ২০১১

সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হোমস শহরে প্রথম দিনের পর্যবেক্ষণ কাজ শেষ করলেন আরব লিগের পর্যবেক্ষক দল৷ সেশহরে মঙ্গলবার আন্দোলনে অংশ নেয় কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী৷ তবে সামরিক যানের উপস্থিতি ছিল কম৷

https://p.dw.com/p/13ZuZ
সিরিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছেছবি: dapd

সর্বশেষ পরিস্থিতি

সিরিয়ার হোমস শহরে পৌঁছে গেছে আরব লিগের পর্যবেক্ষক দল৷ সেদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আরব লিগ৷ শুরুতেই তারা চাইছে, আন্দোলনকারীদের উপর সরকারি দমনপীড়ন বন্ধ হোক৷ শুধু আলোচনায় নয়, আসলেই সিরিয়ার সরকারি বাহিনী দমনপীড়ন বন্ধ করছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে হোমসে উপস্থিত হয়েছেন আরব লিগের পর্যবেক্ষকরা৷ মঙ্গলবারের পরিস্থিতি সম্পর্কে একাধিক বার্তাসংস্থা জানাচ্ছে, হোমসে কয়েক হাজার সরকার বিরোধী প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে আসে৷ তাসত্ত্বেও সেখানে ট্যাংকের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে৷ আন্দোলনকারীদের দাবি, কার্যত আরব লিগের প্রতিনিধিদের আগমনের কয়েকঘণ্টা আগেই হোমস শহর থেকে ট্যাংক সরিয়ে নিয়েছে সামরিক বাহিনী৷ এমনকটি কিছু ট্যাংক সরকারি ভবনগুলোর আড়ালে লুকানো হয়েছে, দাবি প্রতিবাদকারীদের৷

Syrien Panzer in Homs
হোমস থেকে ট্যাংক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার (ফাইল ফটো)ছবি: picture alliance/dpa

সোমবারও নিহত ৩০

আন্দোলনকারীদের দাবি হচ্ছে, সোমবার হোমসে সরকারি সেনাদের গোলার আঘাতে নিহত হয়েছে ৩০ ব্যক্তি৷ এদের মধ্যে বাবা আমর এলাকায় নিহত হয় ১৮ ব্যক্তি৷ হোমসে অন্যত্র প্রাণ হারায় ১১ জন৷ এছাড়া টালবিশে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে৷ সোমবার বাবা আমর'এ নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণের ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে আন্দোলনকারীরা৷ বলাবাহুল্য, সিরিয়ার সামরিক বাহিনী ত্যাগ করে বেশ কিছু সেনা কয়েক সপ্তাহ আগেই ফ্রি সিরিয়ান আর্মি নামক বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সেনাদের সহিংসতায় উভয়পক্ষের ক্ষতি হচ্ছে, এমনটা জানিয়েছেন হোমসের এক বাসিন্দা৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘আমি অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত সৈনিকদের নিয়ে যেতে দেখেছি৷ যেকোনভাবে তারা গুলিবিদ্ধ হচ্ছে''৷

পর্যবেক্ষকদের মন্তব্য

আরব লিগের পর্যবেক্ষকদেরকে সিরিয়ার যেকোন স্থানে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে দামেস্ক৷ তবে তাদেরকে নির্ভর করতে হচ্ছে সিরিয়া সরকারের যানবাহন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর৷ পর্যবেক্ষক দলের প্রধান সুদানি জেনারেল মুস্তফা দাবি বলেছেন, সিরিয়া কর্তৃপক্ষ খুবই সহযোগিতা করছে৷ তবে সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল, মানে বাশার আল-আসাদের বিরোধী পক্ষের নেতা বুরহান ঘালিউন'এর দাবি, সেখানে পর্যবেক্ষকরা ঠিক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না৷ বরং তিনি সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশগ্রহণের দাবি করেন৷ তাঁর কথায়, আরব লিগের পরিকল্পনা সুন্দর হলেও, তা প্রয়োগের ক্ষমতা তাদের নেই৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য