1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: ১১ র‍্যাব সদস্য ক্লোজড

৩১ মার্চ ২০২৩

নওগাঁয় র‍্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে র‌্যাব৷ জেসমিনের আটকের সঙ্গে জড়িত ১১ র‌্যাব সদস্যকে ‘ক্লোজ' করার পর তদন্ত কমিটি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4PXLn
জেসমিনের আটকের সঙ্গে জড়িত ১১ ব়্যাব সদস্যকে ‘ক্লোজ' করার পর তদন্ত কমিটি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে
জেসমিনের আটকের সঙ্গে জড়িত ১১ ব়্যাব সদস্যকে ‘ক্লোজ' করার পর তদন্ত কমিটি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছবি: bdnews24.com/A. Al Momin

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২২ মার্চ ওই অভিযানে যারা ছিলেন, সেই ১১ জনকে তদন্তের প্রয়োজনে র‌্যাব-৫ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে৷ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র‌্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে৷

র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনায়হাইকোর্ট জেসমিনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব করেছে৷ র‌্যাবের কে কে জিজ্ঞাসাবাদে ছিল, তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত৷ আটকের পর জেসমিন ও আরেক যুবককে আসামি করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল৷

এক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘যখন তাকে ধরা হয় তখন তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না৷ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের আগে তার মৃত্যু হয়েছে৷ এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো দোষ দেখছি না৷''

এদিকে, নওগাঁয় র‍্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছের‍্যাবের ১১ সদস্যকে৷ র‍্যাব সদর দপ্তরে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷

রাজশাহীতে র‍্যাব-৫–এর কার্যালয়ে এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‍্যাবের ১১ সদস্য নওগাঁয় আবার তাঁদের কর্মস্থলে ফিরে যাবেন৷ জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় একজন মেজর, পুলিশের এএসপিসহ অন্যান্য সদস্য ও গাড়িচালক রয়েছেন বলে জানান তিনি৷

র‍্যাব সদর দপ্তর সুলতানা জেসমিন মৃত্যুর ঘটনায় গত সোমবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে৷ ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‍্যাব৷ ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়৷ এর পর থেকে সুলতানা জেসমিনের পরিবার অভিযোগ করে আসছে, তাকে র‍্যাব হেফাজতে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছিল৷

র‍্যাবের ভাষ্য, প্রতারণার অভিযোগে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল৷ আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান৷

র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে৷ মৃত্যুতে কারও জড়িত থাকা বা গাফিলতির তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত র‌্যাব সদস্যদের মাঠের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছিল৷

ব়্যাব, পুলিশ ও এমপি - গণতন্ত্র বাংলাদেশ স্টাইল?

এপিবি/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ডেইলি স্টার)