1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেপাটাইটিস সি এবং যকৃতের রোগের ঝুঁকি কমায় কফি

২২ অক্টোবর ২০০৯

মার্কিন গবেষকরা বলছেন, মানুষের বেশি বেশি এসপ্রেসো কফির দোকানে ভিড় করার একটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷ কেননা বুধবার প্রকাশিত একটি গবেষণার প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, প্রতিদিনের কয়েক পেয়ালা কফি যকৃতের রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক৷

https://p.dw.com/p/KCXJ
ছবি: DW-TV

আমেরিকার জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট - এনসিআই এর গবেষক নিল ফ্রিডম্যানের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে৷ এতে দেখা গেছে, মারাত্মক হেপাটাইটিস সি এবং যকৃতের রোগে ভুগছে এমন ব্যক্তিরা প্রতিদিন তিন বা ততোধিক পেয়ালা কফি পান করলে যারা কফি পান করে না তাদের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি ঝুঁকিমুক্ত৷ এছাড়া এই গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা কফির বেশ কিছু প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে, কফি যকৃত রোগসহ টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং যকৃতের প্রদাহের ঝুঁকি কমায়৷

৭৬৬ জন রোগীর উপর এই গবেষণা চালানো হয়৷ তাদের মধ্যে হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৩ বছর ৮ মাস ধরে প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর পরীক্ষা করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, দেড় বছর পর একবার এবং সাড়ে তিন বছর পর আরেকবার তাদের যকৃতের জীবন্ত কোষ নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে৷ গবেষকরা বলছেন, যকৃতের রোগীদের মধ্যে যারা দিনে তিন কিংবা ততোধিক পেয়ালা কফি পান করেন, তারা যারা কফি পান করে না তাদের চেয়ে ভালো ছিলেন৷ গবেষণা প্রতিবেদনটি হেপাটোলোজি নামক বিজ্ঞান পত্রিকার নভেম্বর সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে৷

Flash-Galerie Virtuelles Wasser Eine Tasse Kaffee kostet 140 Liter Wasser
ছবি: picture-alliance/ dpa

গবেষকরা বলছেন, ‘আমরা কফি পান করা এবং যকৃতের রোগের মধ্যে একটি বিপরীতমুখী সম্পর্ক লক্ষ্য করেছি৷' ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এক পেয়ালা কফিতে যে পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে সেটা যে বেশ তেজ ও শক্তি জোগায় তা আগের একটি গবেষণাতেই দেখা গেছে৷ এমনকি ইঁদুরের দেহে যকৃতের ক্যান্সার প্রতিরোধে এই ক্যাফেইনের ইতিবাচক ভূমিকা আগের পরীক্ষাতেই পরিলক্ষিত হয়েছে৷ সেই তুলনায় কালো কিংবা সবুজ চা'য়ে বিদ্যমান ক্যাফেইন একই রকম ভূমিকা পালন করে না বলেই মন্তব্য বিজ্ঞানীদের৷

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - ডাব্লিউএইচও এর হিসাব মতে, বিশ্বে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ হেপাটাইটিস সি-তে আক্রান্ত হয়৷ তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই মারাত্মক আকার ধারণ করে৷ এমনকি সিরোসিস কিংবা যকৃতের ক্যান্সারের রূপ নেয়৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী